কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ট্রেন দুর্ঘটনার ১৭ ঘণ্টা পরও শেষ হয়নি উদ্ধার কাজ। দুর্ঘটনার পর রোববার (১৬ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে লাকসাম রেলওয়ে জংশন থেকে একটি উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে আলো স্বল্পতার কারণে রাতে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি।
সোমবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে আরও একটি রিলিফ ট্রেন আসলে ভোর সাড়ে ৬টা থেকে এক সঙ্গে উদ্ধার কাজে শুরু হয়।
নাঙ্গলকোট স্টেশন মাস্টার মো. জামাল উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় তিন ও চার নম্বর (লুফ) লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূল লাইন দুটির ক্ষতি না হওয়ায় রাত থেকে আপ ও ডাউন দুই দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দেরিতে উদ্ধার কাজ শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সিঙ্গেল লাইন দিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে আটকেপড়া ট্রেনগুলো পাসিংয়ের ব্যবস্থা করি। যার কারণে রিলিফ ট্রেন আসতে একটু সময় লেগেছে।
তিনি আরও জানান, ভোর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা উদ্ধার কাজ শেষ করতে পারবো।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনের পূর্বপাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনের পেছনে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা ট্রেনটি ধাক্কা দেয়। এতে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে সাতটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ট্রেনের চালকসহ অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন। পরে ফায়ারসাভির্স, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। তবে এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে