ফরিদপুরের ভাংগার আরেক রেমিট্যান্স যোদ্ধার মৃত্যু

শহিদুল ইসলাম (শহীদ) পিতা মৃত্যু- শেখ রত্তন, বাড়ী ফরিদপুর জেলার, ভাঙ্গা উপজেলার , ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা গ্রামে। তার বড় ভাইয়ের নাম হাজী আব্দুস সালাম (সালাম হাজী ) গ্রামের কাজী হিসেবে পরিচিত।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এক বিরল ইতিহাস সৃষ্টি করে অল্প বয়সে বহু কষ্ট ব্যথা বেদনা নিয়ে চলে গেল না ফেরার দেশে। বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছর হবে। অল্প বয়সে পরিবার নিয়ে সুখে থাকার জন্যই বিদেশে(সিঙ্গাপুরে) পাড়ি জমায়। প্রায় দেড় থেকে দুই যুগ ধরে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন। গত দুই তিন সপ্তাহ আগে ব্রেইন স্টক করে সিঙ্গাপুরের একটি হসপিটালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত তিন দিন হয় আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেল না ফেরার দেশে। প্রথম স্ত্রী, শহীদ কে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়।সেই সংসারে ১৫ বছরের পুত্র সন্তান ও ১৩ বছরের কন্যা রয়েছে। গত বছরখানেক হয় দ্বিতীয় বিবাহ করে সিঙ্গাপুরে আবার পাড়ি জমায়। এবার এসে দ্বিতীয় স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ঘরবাধাঁ হলো না রেমিটেন্স যোদ্ধা শহীদের। ও একজন সহজ সরল, ভদ্র,নামাজি সহ সকল গুন ওর মধ্যে ছিল। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় (১১ই মে ২০২৩ বৃহস্পতিবার )শহীদ এর লাশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। শুকবার (১২ ই মে) সকাল আটটার দিকে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এবিষয়ে ভাংগা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হাজী সাইফুল্লাহ শামীম এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমরা একিসাথের,একি বয়সের,একসাথেই খেলাধুলা করেছি ছোটনেলায়। আমি এই সহজ সরল রেমিটেন্স যোদ্ধার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং ভাঙ্গা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

আল্লাহ যেন শহীদ কে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন আমিন, ছুম্মা আমিন ।