গাজায় ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর : জাতিসংঘ বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর কোরআনের সবচেয়ে সম্মানিত আয়াত কড়া রোদে চোখের ক্ষতি এড়াতে যা করবেন ইন্টারনেট ছাড়াই ছবি-ফাইল পাঠানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৯ মুক্তির আগেই সিনেমার ব্যবসা ১০০০ কোটি রুপির প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত প্রচন্ড তাপদাহ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বাড়ছে খাদ্য ও পানীর সংকট রিজার্ভ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের তীব্র দাবদাহের খবর যুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার : অর্থ প্রতিমন্ত্রী বাংলার বাঘ নামে পরিচিত হক সাহেব ছিলেন গণমানুষের নেতা : রাষ্ট্রপতি মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চ শিক্ষার বিকল্প নেই : স্থানীয় সরকার মন্ত্রী দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী আহ্বান পৈত্রিক সম্পত্তির নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ সরিষাবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জমিদাতার সন্তানের বুকফাটা কান্না। বগুড়ায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড মধুপুরে তৃতীয় লিঙ্গের পরিচালিত স্বপ্নজয়ী স্কুলে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

তজুমদ্দিনে আখের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাষিরা


ভোলার তজুমদ্দিনে আখের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পাড় করছেন চাষিরা। আখের জমিতে আষাঢ়ের বৃষ্টির পানি আসার আগেই ক্ষেতের বিভিন্ন কাজকর্ম সেরে নিচ্ছেন চাষিরা। পাঁচটি ইউনিয়নে ৩২ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এবছর সার, ঔষধ ও লেবার খরচ বেশি হওয়ায় আখ বিক্রি করে লাভবান হওয়া নিয়ে শংকিত চাষিরা। 


সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের আখ চাষ করেন চাষিরা। আগামী আশ্বিন, কার্তিক মাসে আখ বিক্রির জন্য হৃষ্টপুষ্ট ও পরিপক্ক করতে এবং রোগবালাই, পোকার আক্রমন প্রতিরোধে কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। আরো পরেরদিকে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে আখের পরিচর্যায় করা সম্ভব করা হবে বলেই বৃষ্টির আগেভাগেই রাতদিন পরিচর্যা করে যাচ্ছেন চাষিরা। 


উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর পাঁচটি ইউনিয়নে ৩২ হেক্টর জমিতে আখ আবাদ হয়েছে। ভোলাতে কোন সুগারমিল না থাকায় এখানে বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ হচ্ছেনা যে কারণে আখ চাষিদের জন্য কোন সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা নেই। তারপরও স্থানীয় চাষিরা চিবিয়ে ও রস খাওয়ার জন্য নিজ উদ্যোগে আখ চাষ করে থাকেন। তাই কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক আখ চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। 


জানতে চাইলে আখচাষি মো. শামছুদ্দিন (৪৫), ইউসুফ (৪৮) ও রুহুল আমিন (৫০) বলেন, আমরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে আখ চাষ করে যাচ্ছি। সরকার কোন সুযোগ সুবিধা পাই না। এ বছর লেবার ও সার ঔষধের দাম বেশি থাকায় আখ বিক্রি করে লাভবান হওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি। বছরের শুরুতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় সাথি ফসলও ভালো হয়নি। তাই আখ চাষে সরকারী সুযোগ-সুবিধা প্রদানের দাবী জানান চাষিরা। যে হারে সার ঔষধের দাম বাড়ছে তাতে সরকারি সুযোগ সুবিধা না থাকলে এক সময় আখ চাষ বন্ধ হয়ে যাবে। 


উপজেলা কৃষি কর্মকতা কৃষিবিদ মো. নাজমুল হুদার বলেন, আখ হচ্ছে একটি লাভজনক ফসল। এই এলাকায় সুগারমিল না থাকায় বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ হচ্ছেনা। তবুও স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী চিবিয়ে ও রস খাওয়ার জন্য নিজ উদ্যোগেই আখ চাষ করে থাকেন। আখ চাষের জন্য সরকারি সুবিধা আসে না। তবুও আখের রোগবালাই প্রতিরোধে ও ভালো ফলন পেতে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে আখের সাথে সাথি ফসল করে বাড়তি আয় করতে পারেন।

আরও খবর