সংলাপের কথা শুনে বিএনপির নেতাদের আবারো জিহ্বায় পানি এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নানা গুরুত্বপূর্ণ অভিন্ন ইস্যুতে দুই মেরুতে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও দুদলের অবস্থান বিপরীতমুখী। সংকট নিরসনে হঠাৎ করেই সামনে এসেছে দুদলের আলোচনা। সংলাপ নিয়ে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমির হোসেন আমুর দেওয়া বক্তব্যে রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করে।
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ১৪ দলের সমাবেশে গণতন্ত্রের স্বার্থে প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধির মধ্যস্থতায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে জানান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতিসংঘের প্রতিনিধি আসুক আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই, কীভাবে সবাই মিলে একটি অংগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়। সেটা আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা হতে পারে, অন্য কোনো পথে নয়। যদিও পরে আমু তার অবস্থান থেকে সরে আসেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমুর বক্তব্য আওয়ামী লীগের কিনা- সেটা আমরা জানি না। তাছাড়া এখন তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামেও নেই। সেক্ষেত্রে প্রথম কথা হচ্ছে, তার কথাকে আমরা আওয়ামী লীগের বক্তব্য মনে করব কিনা? দ্বিতীয়ত, ১৪ দল তো সিদ্ধান্ত নেয় না, নেয় আওয়ামী লীগ। এটা আদৌ আওয়ামী লীগের প্রস্তাব কিনা, সেটা না জেনে বিস্তারিত মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আজ (বৃহস্পতিবার) আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সংলাপ নিয়ে আপাতত আমরা ভাবছি না। ভাবব কিনা- সেটা পরের বিষয়। গতবারের কথা আমাদের মনে আছে। এক বার নয়, দুই বার তাদের সঙ্গে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী?
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। তারা নিজেরাই ‘ফাঁদে পড়ে কান্দে’। এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসানীতি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এই ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, একটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে।
৪ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ১৭ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে