বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন ভারতের আসাম থেকে নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী দেশে ফিরতে পারবেন। আসাম থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের জন্য তাকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে গৌহাটি মিশনকে জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মতি পেয়ে আমাদের গৌহাটি মিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। এরপর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।’
সালাহউদ্দিন এখন বাংলাদেশে ফিরতে পারবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কবে ফিরবেন সেটি তার ওপর নির্ভর করে।’
এর আগে দেশে ফেরত আসার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করার জন্য সালাহউদ্দিনের একটি আবেদন ঢাকায় পাঠানো হয় মতামতের জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে সালাহউদ্দিনকে ট্রাভেল পাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১১ মে থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে আছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। আর তার আগের দুই মাস দেশের ভেতরেই নিখোঁজ ছিলেন।
২০১৫ সালের মার্চে যখন সালাহউদ্দিন নিখোঁজ হন, ওই সময়ে বিএনপি পুরোদমে আন্দোলনে। তখন দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছিলেন সালাহউদ্দিন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে অজ্ঞাত জায়গা থেকে প্রতিদিন দলের কর্মসূচি ও নেতাকর্মীদের কাছে শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা গণমাধ্যমে মাধ্যমে পাঠানোর কাজটি করতেন তিনি।
দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাট থেকে র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সালাহউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এর দুই মাস পর পাশের দেশ ভারতে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাকে।
উদ্ধারের পর সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে দেশটিতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মামলা হয়। প্রায় সাড়ে তিন বছর মামলার কার্যক্রম চলার পর ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হয়। ওই বছরের ২৬ অক্টোবর আদালতের রায়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে করা মামলায় নির্দোষ হিসেবে রায় পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে আবার সরকারপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। আদালত পরে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের শিলংয়ের জজ কোর্টের রায়ে তিনি বেকসুর খালাস পান বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিজেই জানান সালাহউদ্দিন।