স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে ও সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে ভারত সাড়া দিলেও মিয়ানমারের কাছ থেকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাড়া পাচ্ছে না।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে কোনো মাদক উৎপাদন হয় না।
তবে ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে মাদকের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটছে। এই অনুপ্রবেশ বন্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা প্রতিনিয়ত দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করছি। ভারতের সঙ্গে সাতটি ও মিয়ানমারের সঙ্গে পাঁচটি বৈঠক সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান বন্ধে ভারত আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা ফেনসিডিল কারখানা বন্ধ করেছে। আমাদের দেশে যেন মাদক না আসে, সেজন্য আমরা তাদের অনুরোধ করি, তারা তাতে সাড়াও দেয়।
‘তবে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে- মিয়ানমারের কাছ থেকে আমরা উল্লেখযোগ্য সাড়া পাচ্ছি না। যদিও আমাদের অনেক বৈঠক হচ্ছে। বৈঠকে তারা ইতিবাচক কথা বলছে। কিন্তু আমরা সেখান থেকে কোনো ধরনের সাড়া পাচ্ছি না। ’
রোববার (৩০ জুলাই) মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় এই আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্তি একটি সামজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। মাদকের ক্ষতিকর দিকগুলো বিবেচনায় নিয়ে এর চাহিদা হ্রাসে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে।
বাংলাদেশ কোনো মাদক তৈরি করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভৌগলিকভাবে বিশ্বের দুটি বৃহৎ মাদক বলয়ের মধ্যবর্তী স্থানে বাংলাদেশের অবস্থান। তাই দেশে মাদকের অবৈধ প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছেই। চোরাকারবারিদের মাধ্যমে এসব মাদক দেশে অনুপ্রবেশ করছে। এর ফলে সমাজের একটি অংশ, বিশেষ করে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকবিরোধী প্রচারণা বাড়িয়েছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন যুগপোযোগী করে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করেছি।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণের জন্য মানুষকে বিশেষ করে যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে হবে। এজন্য যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য সবাই এগিয়ে আসুন, আমাদের সহযোগিতা করুন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে সেসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল, ‘মানুষই মুখ্য, মাদককে না বলুন, শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’।
৬ ঘন্টা ৪২ মিনিট আগে
২১ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
১ দিন ২ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
২ দিন ২ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
২ দিন ২১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩ দিন ৮ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৪ দিন ৫ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৪ দিন ২০ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে