ঝালকাঠির নলছিটিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও উদযাপন হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বজনীন উৎসব শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজো। নলছিটি পৌর শহরের হরিসভা মন্দির ও তাঁরা মন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে ৩ দিন ব্যাপী নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে এ পূজো।
কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে দেবী জগদ্ধাত্রীর বাৎসরিক পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু বাঙালির ধর্মীয় মানসে রাজসিক দেবী দুর্গা ও তামসিক কালীর পরেই স্থান সত্ত্বগুণের দেবী জগদ্ধাত্রীর।
২০ নভেম্বর সোমবার অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দেবীর আমন্ত্রণ, ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার সপ্তম্যাদিকল্পে নবমীবিহিত দেবীর পূজো, অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ২২ নভেম্বর বুধবার রাতে মায়েদের সিঁদুর খেলা, সন্ধ্যা আরতি, আরতি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সবশেষে ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৩ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বী শক্তির দেবী শ্রীশ্রী জগদ্ধাত্রী পূজোর শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নলছিটি শাখার সভাপতি প্রান্তিক দাস পুটু, সাধারন সম্পাদক শুভাশীষ দত্ত প্রদ্যুৎ, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক তপন কুমার দাস, হরিসভা মন্দির জগদ্ধাত্রী পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুদেব দাস, সম্পাদক কৃষানু দাস, তাঁরা মন্দির কমিটির সভাপতি, মিলন মালো, সম্পাদক অভিজিৎ কর্মকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।
এইভাবে প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পূজোর আয়োজন করায় আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নলছিটি উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যাক্তিবর্গরা।
জগদ্ধাত্রী দেবী হচ্ছেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী শক্তি দেবী। ইনি দেবী দুর্গার অপর রূপ। উপনিষদে তিনি উমা হৈমবতী নামে পরিচিত। বিভিন্ন তন্ত্র ও পুরাণ গ্রন্থেও তার উল্লেখ পাওয়া যায়। যদিও জগদ্ধাত্রী আরাধনা বিশেষত বঙ্গদেশেই প্রচলিত রয়েছে। জানা যায় কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে ১৭১০ খৃষ্টাব্দে মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই পূজা শুরু করেন।