রক্তদাতার যে বিষয় গুলো মেনে চলা জরুরী সারাদেশে টানা বৃষ্টির আভাস বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক সংঘাত না থামালে পরিণতি ভয়াবহ হবে, ইসরায়েলকে চীন পাচারের টাকা উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে’ ২৬ জুন থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা দেশে সোনার দামে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ লাখাইয়ে সাংবাদিক প্রোটন দাশ গুপ্তের ২৫ তম প্রয়ান দিবস ও স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত। নোয়াখালীতে ভাড়া নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটালো যাত্রীর পাঁচবিবিতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৭ লালপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন সাতক্ষীরায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণসহ ১৪ দফা দাবিতে শিক্ষক সম্মেলন জয়পুরহাটে অতিরিক্ত আদায়কৃত বাসভাড়া ফেরত পেল ৬শ যাত্রী মোংলা বন্দরে ড্রেজিং ইকুইপমেন্ট নিতে বিশ্বের বিখ্যাত হেভি লিফট ভ্যাসেল মধুপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বটগাছে ট্রাকের ধাক্কায়, ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু লালপুরে ছড়িয়ে পড়েছে বিষাক্ত পার্থেনিয়াম রাজবাড়ীতে গোয়ালন্দে পুলিশের অভিযানে হেরোইনসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত লালপুরে বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সিগারেট চেয়ে না পাওয়ায় যুবককে হত্যা, দেড় বছর পর রহস্য উদঘাটন

লাখাইয়ে ভিক্ষা ভিত্তি করে সংসার চলে ছালেকা বেগমের।

লাখাইয়ে ভিক্ষা ভিত্তি করে সংসার চলে ভূমিহীন,গৃহহীন বিধবা ছালেকা।

 লাখাইয়ে উপজেলার ৫ নম্বর করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রাম এর ভূমিহীন, গৃহহীন বিধবা ছালেকা খাতুন এর সংসার চলে ভিক্ষা ভিত্তি করে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায় হতদরিদ্র ছালেকা খাতুন এর স্বামী মগল মিয়া বছর দশেক আগেই গত হয়েছেন।

স্বামী মগল মিয়ার ভিটে বাড়ী ছাড়া জমিজমা তেমন ছিলনা বললেই চলে। ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে নিয়ে ৮ সদস্যদের সংসার কোন রকমে কষ্টে দিনাতিপাত করতে হতো।এর মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে দেওয়া ও ২ ছেলে বিয়ে করে যে যার মতো আলাদা হয়ে যাওয়ায় মগল মিয়ার পড়ে যায় অথৈজলে।বয়স হওয়ায় আয়রোজগার করতে করতে না পারায় অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করতে হতো। এঅবস্থায় বার্ধক্যজনিত রোগে ভোগে জমিজমা যা ছিল তাও বিক্রি করতে হয়।

বিগত বছর দশেক আগে মগল মিয়া মারা গেলে স্ত্রী ছালেকা খাতুন একমাত্র অপ্রকৃতিস্থ ছেলেকে নিয়ে জীবন নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে নামে ভিক্ষা ভিত্তিতে।সেই থেকে ছালেকা খাতুন গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে যা আয় করে তা দিয়ে অপ্রকৃতিস্থ ছেলে নিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। ভিটেমাটি না থাকায় গ্রামের তাউস মিয়ার একটি ডেড়াতে বসবাস করছে। বড় ২ ছেলে বিয়ে করে যে যার মতো আলাদা সংসার করছে।মা ও ভাইয়ের কোন খোঁজ নেয়না।

ষাটোর্ধ বিধবা ছালেকা খাতুন এর সাথে আলাপকালে জানান  আমি খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। আমার এ অভাবের সংসারে অদ্যাবধি কোন সরকারি সহযোগিতা বা ভাতার সুবিধা পাইনি।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট বহুদিন যাবত আবেদন নিবেদন করেও কোন ফলোদয় হয়নি। শুনেছি বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আমার ভাগ্যে তাও জুটেনি। আমার শেষ ইচ্ছা যদি আমাকে সরকারের পক্ষ থেকে যে কোন জায়গায় একখানা ঘর বরাদ্দ দেওয়া হতো তবে আমি মরেও শান্তি পেতাম।অন্তত নিজের ঘরে বসবাস করে মরতে পারতাম। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউ,এন,ও) নাহিদা সুলতানা এর সাথে আলাপকালে জানান  বিধবা ছালেকা খাতুন তাঁর সমস্যা ও গৃহ বরাদ্দ পাওয়ার আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tag