বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী গোদাগাড়ীতে কাভার ভ্যানের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত আরও ২ দিন বাড়লো ‘‌হিট অ্যালার্ট’ অষ্টমবারের মতো কমলো স্বর্ণের দাম হবিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের ৪ জনই গলাচিপার বদিউজ্জামান ফকিরের উপরে হামলা চালিয়ে থানায় ঢুকে উত্তাপ ছড়ালো ইঞ্জিনিয়ার আমিনুলের সমর্থকরা চৌদ্দগ্রামে আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির ২ সদস্য গ্রেফতার। সাভারের আশুলিয়ায় স্ত্রী কে হত্যার দায়ে স্বামী গ্রেফতার চৌদ্দগ্রামে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী পরিষদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুবিতে 'বি 'ইউনিটে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল তৃতীয় ধাপের চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে ১০ জনের মনোনয়নপত্র জমা শ্রেষ্ঠ কলেজ শিক্ষক মনোনীত হলেন আমানত উল্লাহ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে দুইমাস ব্যাপী কম্পিউটার বেসিক এণ্ড নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণের উদ্বোধন তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ গোদাগাড়ীতে পথচারীদের মাঝে বিএনপি’র পানি ও স্যালাইন বিতরণ নিখোঁজের ১৯ মাস পর কঙ্কাল, ব্রেসলেট দেখে স্ত্রী শনাক্ত করলো স্বামীর লাশ জাতীয় পর্যায়ে খুলনা বিভাগের শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি কিনিকের স্বীকৃতি পেল দেবীপুর কমিউনিটি কিনিক লাখাইয়ে পিপাসার্থদের পাশে পথশিশু নিকেতন ফাউন্ডেশন। অভয়নগরের তা'লীমুল কুরআন মাদ্রাসায় আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম কমলো ৪৯ টাকা উখিয়ার সীমান্ত থেকে ১০ জেলেকে অপহরণ আরাকান আর্মির

নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র

admin - দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 18-01-2024 09:08:04 am

বাংলাদেশের নবগঠিত সরকার ও জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের সঙ্গে শীঘ্রই নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছে ইইউ। এর মধ্যে দিয়ে দুই পক্ষের সম্পর্ক আরও বাড়বে। বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসব কথা বলেন। দুই রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা উপহার দেন। সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। পিটার হাস বলেন, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ও পারস্পরিক বিষয় কীভাবে এগিয়ে নিতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য, রোহিঙ্গা ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি। আগামী মাসগুলোতে আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাব। ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে শীঘ্রই নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছে ইইউ। এর মধ্যে দিয়ে দুপক্ষের সম্পর্ক আরও বাড়বে। চার্লস হোয়াইটলি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক। বেলজিয়ামের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কারণ তিনি সেখানেই লেখাপড়া করেছেন। আর বেলজিয়াম হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়। বৈঠকে ইইউ-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের অনেক এজেন্ডা রয়েছে। শীঘ্রই নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছি আমরা। এটি অনেক ব্যাপক ও নতুন প্রজন্মের চুক্তি। এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আমাদের কথা হয়েছে। যেটিকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটও উঠে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। আগামীতেও বহু বছর ধরে এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। আমাদের বৈঠক ছিল খুবই ফলপ্রসূ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি মনে করি, নতুন অংশীদারত্ব সহযোগিতা চুক্তির (পিসিএ) ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি রয়েছে, সেটির চেয়ে এটির (পিসিএ) ধরন অনেকটা রাজনৈতিক। কারণ আগের চুক্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগিতার। যা এখনো বর্তমান আছে। বছরখানেক আগে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে প্রথম রাজনৈতিক সংলাপ হয়েছে। যার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্কও জড়িয়ে রয়েছে। পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কেবল এটিই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বিশ্বজুড়ে যা কিছু ঘটছে এবং বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যে তার প্রভাব পড়ছে, তাও বিবেচনায় নিতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি বলে বিবৃতিতে আপনি বলেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে আজকের আলোচনায় কী সেই প্রসঙ্গ উঠেছিলÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, এ বিষয়ে কথা হয়নি। আমরা এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছি। আজকের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। কীভাবে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আধুনিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে পারি, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার বিষয়। আপনি কী অতীত ভুলে গেলেন, প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই না, অতীতও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নির্বাচনী বিশেষজ্ঞ দল এই শহরে ছিলেন। তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা এখনো বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে তারা প্রতিবেদন তৈরি করবেন। যা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনে যা-ই বলা হোক না কেন; আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবেন কিনা, প্রশ্নে তিনি বলেন, অবশ্যই। আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার বিষয়ে আলোচনা ॥ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও রোহিঙ্গাদের অর্থায়নের বিষয়ে কাজ করতে চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 


বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে প্র্রথম সৌজন্য সাক্ষাতে আসেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এরপরই মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চালর্স হোয়াইটলি। দুই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এই সৌজন্য সাক্ষাতের সময় পৃথকভাবে পিটার হাস ও চার্লস হোয়াইটলি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা উপহার তুলে দেন মন্ত্রীর হাতে। হাছান মাহমুদ বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এখন সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পিটার হাস নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করা এবং সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া বাণিজ্য আরও বিস্তৃত করার জন্য আমেরিকান বিনিয়োগের বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বহুবিধ সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশ জঙ্গি দমন, উগ্রবাদ মোকাবিলায় দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করছে। এসব ক্ষেত্রে আরও ঘনিষ্ঠভাবে ভবিষ্যতে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। মোটের ওপরে আমরা উভয় দেশ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে আমাদের বাণিজ্য আরও বিস্তৃত করতে এবং অন্যান্য সবক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করব বলে অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছি। তিনি বলেন, নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে পর্যবেক্ষণ করতে এসেছে, সে বিষয়টাও আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ আলোচনায় এসেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সবসময় তাদের সহযোগিতা চেয়ে এসেছি। আজকে সেটি পুনর্ব্যক্ত করেছি। সেই লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করব বলে একমত হয়েছি। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচন প্রসঙ্গ কার দিক থেকে তোলা হয়েছে-এমন প্রশ্ন রাখা হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে নানা দেশের নানা মত ছিল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তারা নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা একযোগে আমাদের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। এ ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি এবং অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিজে থেকে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্নের অবতারণা করেননি। বরং আমি তাদের দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। তিনি নিজে থেকে এ বিষয়ে (নির্বাচন প্রসঙ্গ) কোনো কথা শুরু করেননি বা প্রশ্ন তোলেননি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাসের কথা এসেছে। গত ৫ তারিখে তারা পেট্রোল বোমা জ্বালিয়ে একটি পরিবারকে মেরেছে, বহু মানুষ মেরেছে, ট্রেন জ্বালিয়ে দিয়েছে। আর ধারাবাহিকভাবে কাজগুলো করছে- এ বিষয়টা অবতারণা করতে গিয়ে এটা (নির্বাচন প্রসঙ্গ) এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা এবং সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সমুদ্রে তেল অনুসন্ধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সমুদ্রে প্রচুর তেল আছে সেটা আমেরিকান একটি কোম্পানি অনুসন্ধান করেছে। এটি উত্তোলন করতে পারলে আমাদের দেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা কিছুটা আছে। সেটা নিয়েও আলোচনা করেছি। র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। নিষেধাজ্ঞা বা পশ্চিমা অস্বস্তি কাটল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পর্কটাকে আরও ঘনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আরও কাজ করতে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা করেছি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউর সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দিয়ে ফেরত পাঠানো, এর বিকল্প কিছু নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুর শুরুতে বিশ্বসম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা ইস্যুর কারণে রোহিঙ্গা থেকে অনেকটা সরে গেছে। সেজন্য তার সঙ্গে সেটা আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বাড়তি চাপ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আমাদের জন্য একটা সমস্যা। সব মিলিয়ে ১৫ লাখ রোহিঙ্গা। এটা আমাদের জন্য একটা বাড়তি চাপ। তারা যেন সহায়তা (অর্থায়ন সহায়তা) পায়। নাগরিক অধিকার নিয়ে তাদের (রোহিঙ্গাদের) ফেরত পাঠানোর বিষয়ে একযোগে কাজ করব। ইইউর রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইউরোপীয় ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করেন, এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। 


একইসঙ্গে ইউরোপীয় ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউটগুলো যাতে আমাদের বেসরকারি সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংলাপে বসার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করেছি। অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে দ্রুত হয়।