মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে জান্তা বাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেওয়া ১৩৭ জন সদস্যকে বিজিবির সেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে দু’জন নারী এবং দু’জন শিশুকে দেখা গেলেও তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে দুটি গাড়িতে করে তাদের বিজিবির সেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তারমধ্যে একটি বাসে ১০৮ জন এবং অন্য একটি বড় জীপে করে ২৯ জনকে সেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রামু সেক্টর কমান্ডার মেহেদী হোসাইন কবীর বলেন, বাংলাদেশে প্রবেশ করে ১২৯ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রকরণ করে আমাদের সেল্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালীর রহমতেরবিলে তারা প্রবেশ করে। তাদেরকে স্থানীয়রা বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদের রহমতেরবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত রাখে। তারপর তাদের লাইন ধরিয়ে নিরাপত্তার মাধ্যমে টেকনাফ-কক্সবাজার মহাসড়ক পর্যন্ত নিয়ে গিয়ে গাড়িতে তোলা হয়।
পালংখলী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ড রহমতেরবিলের ইউপি সদস্য আলতাছ আহমেদ টিটিএন -কে বলেন, একসাথে শতাধিক মিয়ানমার বিজিপি আমার এলাকায় প্রবেশ করে বিজিবি খূঁজতে থাকে। আমরা বিজিবিকে খবর দিলে বিজিবি তাদেরকে বুঝিয়ে নিয়েছে। বিকেলে তাদেরকে বিজিবি নিয়ে গেছে। গেল কয়েক দিনে মিয়ানমারের এলাকায় হওয়া যুদ্ধের গোলা ও মর্টার শেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী গ্রামে। এ ঘটনায় কক্সবাজার বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে এ পরিস্থিতিতে সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা আবারো রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের আশংকা করছেন। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি প্রশাসন পর্যবেক্ষণে রেখেছে। বিজিবিসহ আইন শৃংখলা বাহিনী সীমান্তে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।