আশাশুনির খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের ১০ হাজার বিঘা আমন চাষের জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারি খালের ইজারা বাতিল ও চেউটিয়া খাল সংলগ্ন খোলপেটুয়া নদীতে স্লুইসগেট নির্মাণের ভূমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ এর কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার তিন প্রধান শিক্ষক সহ এরাকাবাসি গন স্বাক্ষরিত আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন নদী ও খাল সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ডাঃ নৃপেন্দ্র নাথ মণ্ডল, প্রধান শিক্ষক কিংকর কুমার মণ্ডল, ইউপি সদস্য তারক চন্দ্র মণ্ডল, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, ব্রাহ্মণ সংসদের নেতা প্রদীপ ব্যাণার্জী। জানাগেছে, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের মাধ্যম খাজরা ও বড়দল ইউনিয়নের সীমানার কালকি নামক ব্লুইসগেটটির নাব্যতা হারানো কপোতাক্ষ নদের সাথে প্রবাহমান চেউটিয়া খালটির একসনা 'DCR' দেওয়ায় DCR প্রাপ্ত সুবিধাভোগীরা খালের উপর ভেড়ি বাঁধ ও নেট পাটার বেষ্টনীর কারনে পলিমাটি জমে উক্ত চেউটিয়া খালের সাথে কপোতাক্ষ নদীর স্বাভাবিক স্রোত প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই-তিন বছরের জমাটবাঁধা পলিমাটি জরুরি ভিত্তিতে অপসারণ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও সরকারিভাবে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ২০২৩ সালে এলাকার আমন ধান চাষ উপযোগী (পিরোজপুর, ছোট দুর্গাপুর, কালিকাপুর, খাজরা, দুর্গাপুর, কালিকাপুর খাজরা, রাউতাড়া, কাপসন্ডা ও বড়দল মৌজার) ১০ হাজার (আনুঃ) বিঘা জমির চাষাবাদ ব্যাহত হয়। যার ফলে এলাকার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জীবন ও জীবিকার একমাত্র অবলম্বন তাঁদের একমাত্র আমন ধানের জমি আজ ফসলশুণ্য খাঁ-খাঁ বিরান ভূমিতে পরিনত হয়েছে।
খাজরা ইউনিয়নের মধ্যভাগ দিয়ে বয়ে যাওয়া 'ক' তফশীলভূক্ত (ক) চেউটিয়া খাল (খ) কাটাখালি খাল (গ) পবনা খাল (ঘ) দেয়াবর্ষিয়া খাল (৩) মৌলোবাদাল ও (চ) তালতলা নামক খালসহ অন্যান্য জলাধার সমূহের দেয় ডিসিআর স্থায়ীভাবে রদ ও রহিত করে উক্ত আমন ধান চাষের ১০ হাজার বিঘা জমির জলাবদ্ধতা নিরসন করা এখন সময়ের দাবি। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য নাব্যতা হারানো কালকী লুইসগেটের বিকল্প হিসেবে চেউটিয়া খালের পশ্চিমে খোলপেটুয়া নদীতে অথবা কাটাখালি খালের কপোতাক্ষ নদে জরুরী ভিত্তিতে স্লুইসগেট স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর সমূহকে সদয় আদেশ পূর্বক ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার প্রান্তিক চাষীদের মুখে পূণরায় হাসি ফেরাতে আকুল আবেদন জানানো হয়।
ভূমি মন্ত্রী সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসককে সরজমিনে তদন্ত করে বাস্তবতা নির্নয়ে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন তার মতামত চেয়েছেন এবং খাল ইজারায় যদি ক্ষতি হয় তবে মন্ত্রণালয়ের মতামত স্বাপেক্ষে বন্ধ করা যেতে পারে মর্মে জেলা প্রশাসকের জরুরী মতামত জানতে চেয়েছেন বলে আবেদন কারীদের সূত্রে জানাগেছে
৩ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে