আশাশুনির দয়ারঘাটে বসত বাড়ি ও চাষাবাদের জমি নদী গর্ভের ভিতর রেখে পাউবো’র বাঁধ নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিকার প্রার্থনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ১৯৯৫ সালে বলাবাড়িয়া ওয়াপদা বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। ঐ সময় মানুষের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এক যুগেরও অধিক সময় ওয়াপদার বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ভাঙ্গনকুলে প্রতি বছরে প্রাকৃতিক বন্যায় এলাকাবাসী মানবতার জীবন-যাপনে বাধ্য হয়। এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিকল্প বাঁধ হিসেবে একটি অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এ বিকল্প বাঁধের আশেপাশের মানুষের দুঃখ-দূর্দশা লাঘবের জন্য আশাশুনি জেলে পাড়ার নিমাই মন্ডলের বাড়ি হতে দক্ষিণ দিকে সুনীল মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক ৫৯৮ মিটার নতুন বাঁধের নকশা হয়।কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পানি উন্নয়ন বোর্ড উক্ত সিডিউল পরিবর্তন করে টেকসই ওয়াপদা বাঁধের সংলগ্ন স্থান হতে পশ্চিম দিকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দুরে বলাবাড়িয়া ভাঙ্গা বিলের ঘের এর পুরাতন বাঁধ সংস্কার করছে। ফলে বসতবাড়ি ও চাষের জমি বাদ পড়ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে পঞ্চরাম মন্ডলের পরিবার সহ কয়েকটি পরিবার। জানাগেছে, পুরাতন ভেড়ী বাঁধ থেকে বাঁধ না দিয়ে ৭০০-৮০০ ফুট বাদ দিয়ে বাঁধ নির্মান করা হচ্ছে। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেঁটে পড়েছে। অতি দ্রুত সমাধান না হলে চরম সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এব্যাপারে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্ত করে নদীর ধার দিয়ে নতুন বাঁধ নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মিলন বলেন, সাধারণ মানুষের জান মালের ক্ষতি করার পক্ষে আমি নই। পূর্বের নকশা অনুযায়ী নদীর ধার দিয়ে নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করলে কারও কোন অভিযোগ থাকবে না। তবে কবে, কিভাবে নকশা ও সিডিউল পরিবর্তণ হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানি না বলে জানান। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি সদর ইউপ চেয়ারম্যান এস এম হোসেনুজ্জামান এ প্রতিবেদককে বলেন, আশাশুনি সদর ইউনিয়ন সহ উপজেলাকে প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আ ফ ম রুহুল হকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। বাঁধ নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে সদর ইউনিয়ন বাসিকে নিয়ে তা রুখে দেওয়া হবে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর এ প্রতিবেদককে বলেন অভিযোগের কাগজ এখনও আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। তবে অভিযোগ থাকলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নিয়ে অভিযোগের সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
৩ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৪ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৫ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে