চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলায় অবৈধ ইট ভাটাগুলোতে আইন লঙ্ঘন করে ফসলি জমির মাটি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইট। উপজেলা প্রশাসনের নজরদারি শুক্র-শনিবারে কম থাকায় রাতের আধাঁরে জমি থেকে মাটি কাটায় এক একটি পুকুর হয়ে যাচ্ছে। এমন অভিযোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছে চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন। ১৯ মার্চ (মঙ্গলবার) দুপুরে এই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নিয়মিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা। এই বিষয়ে ডিপ্লোমেসি চাকমা জানান, হাসিমপুর ইউনিয়নের খাঁন বটতল এলাকার মেসার্স খাজা ব্রিকসকে ইট ভাটা স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে নির্ধারিত শর্ত লঙ্ঘন করে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইট প্রস্তুত করার অপরাধে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় এই অর্থ দণ্ড প্রদান করে আদায় করেন। উপজেলার গাছবাড়িয়ার মৃত হাজী মোহাম্মদ বখতিয়ার আহমদের ছেলে মোহাম্মদ সোলায়মান ভাটার স্বত্বাদিকারী হিসেবে এই অর্থদণ্ড পরিশোধ করেন। তিনি আরোও জানান, এই ধরনের অপরাধের জন্য কৃষিজমির পরিমাণ যেমন কমছে, তেমনি মাটির উর্বরতা শক্তিও নষ্ট হচ্ছে। ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটা বন্ধ না করলে ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩-এর মাটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসকরণে ৫ এর (১) ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কৃষিজমি বা পাহাড় বা টিলার মাটি কেটে সংগ্রহ করে তা ইটের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। আইনের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, যিনি এই আইনের ৫ ধারা লঙ্ঘন করবেন, তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হবে। কিন্তু সারা দেশে এই আইনের কারাদণ্ডের বিধান যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় ইটভাটার মালিক ও মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কাটা বন্ধ করছে না। তাই এই ব্যবসা লাভজনক হওয়ায় নতুনরাও মাটি কাটা শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানা যায়।
৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে