পবিত্র শবে কদর আগামীকাল কাল বিএফএ সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন প্রধান উপদেষ্টা কোম্পানীগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত কমিটির ঘোষণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার বাংলাদেশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী পাকিস্তান ডোমারে বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মহান স্বাধীনতা দিবসে বীর শহীদদের প্রতি নন্দীগ্রাম বিএনপি'র শ্রদ্ধা নিবেদন নন্দীগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সোহেলের পরিবারে সাবেক এমপি মোশারফ হোসেনের উপহার আক্কেলপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল কুলিয়ারচরে ছাত্রদলের উদ্যোগে পথচারীদের ইফতার বিতরন কুলিয়ারচরে ছাত্রদলের উদ্যোগে পথচারীদের ইফতার বিতরন আনোয়ারা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের এতিমদের নিয়ে ইফতার ও দোয়া মাহফিল ’২৫ ইং অনুষ্ঠিত মমতায় মাখা মধু খালার চা পীরগাছায় তানজিমুল হিকমাহ একাডেমির হাদিস মুখস্তকারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ নড়িয়ায় বিএনপি নেতার বাড়িতে বোমা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সুরেশ্বর ফাউন্ডেশনের ঈদ উপহার বিতরণ দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে বাংলাদেশে কিছু নেই: মির্জা আব্বাস বাকৃবিতে স্বাধীনতা দিবসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের আলাদা শ্রদ্ধা নিবেদন পীরগাছায় ইক্ব্রা ইসলামিক যুব সংগঠনের উদ্বোধন

স্বাধীনতার পরও ২৯ বছর ছিল জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 27-03-2024 09:45:36 am

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। © দেশচিত্র


স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মধ্যে উনত্রিশ বছর ছিল এই জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের বছর মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেয়েছিলেন মাত্র তিন বছর সাত মাস। এই অল্প সময়ের মধ্যেই জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি আদায় করে নেন।


বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসে দলটির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, সহযোগিতা করেছে তাদের আমরা সম্মাননা দিয়েছি। আমরা বাঙালি, আমরা কৃতজ্ঞ জাতি। আমাদের যদি কেউ সহযোগিতা করে আমরা সে সম্মান দেখাতে জানি। আমরা সেটাই প্রমাণ করেছি।


তিনি বলেন, স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানসহ সব কিছুই জাতির পিতা অল্প সময়ের মধ্যে করে গেছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন, যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে।


এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেইনিং, অস্ত্র সরবরাহ, সমর্থন দেয়া ও আমাদের সংগ্রামকে যারা সমর্থন দিয়েছে ভারতসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কেউ বলছে গণতন্ত্র নেই, কেউ বলছে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এমনই কর্মকাণ্ড আমরা স্বাধীনতার পর পর দেখেছি। এই দেশের মানুষ ছিল বঞ্চিত। এমন একটা জাতিকে উদ্ভুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দেয়ার মত বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক নেতাকে বলতে শুনলাম ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আজকে যে দলটি বড় বড় কথা বলছে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল, তাহলে যে মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন করা হলো, সেক্টর ভাগ করা হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জিয়াউর রহমান ছিলো একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী। জিয়াউর রহমান যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো এই প্রমোশনটা কে দিল? আওয়ামী লীগ দিয়েছে৷


শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি প্রশ্ন করি, আপনারা কোথায় ছিলেন? সোয়াত জাহাজে অস্ত্র এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরা যে বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালায়, সে হামলাকারীদের একজন জিয়াউর রহমানও। সেটা চট্টগ্রামে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা না বলে পারলাম না। বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পুড়ল। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? আমি জানি, ঈদের আগে দেখি বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করতো। আমি এখন বললো, বিএনপি নেতারা বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করবো, আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।


শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন যিনি। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না।


যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকে সময় দেওয়া হয়নি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা না করে উল্টো বিরোধিতা করা হয়েছিল। যারা এখন দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না তারাই জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করেছিল।

আরও খবর