লোহাগড়ায় সাবেক পুলিশ সদস্যর বাড়িতে বোমা সদৃশ ও কাফনের কাপড়ে মোড়ানো লাশ সাদৃশ্য পুতুল রেখেছে দুর্বৃত্তরা। বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: কালিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদ মেহেদীর কর্মী সমর্থকদের সতর্ক করলেন নির্বাচন কর্মকর্তা মেয়েকে দেখতে এসে লাশ হলেন বাবা জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াড ঘোষণা, দলে সাইফউদ্দিন-ইমন জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাংলাদেশ স্কোয়াড ঘোষণা, দলে সাইফউদ্দিন-ইমন রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত খোলা থাকবে ৫ জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সাতক্ষীরা কুলিয়ায় উপ-নির্বাচনে রওনাক-উল-ইসলাম রিপন জয়ী ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের অভিযানে ৪ পিচ স্বর্ণের বারসহ এক চোরাকারবারি আটক উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি ও সংস্কৃতি সুরক্ষায় মতবিনিময় সভা বৃষ্টির প্রার্থনায় গলাচিপায় ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত সোমভাগ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোঃ হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা মঙ্গলবার আইনগত সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, বরং অধিকার: আইনমন্ত্রী ইউ এস এ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মাননা পদকে ভূষিত হলেন কবি নাজমুন নাহার নাজু লাখাইয়ে তিল আবাদ বাড়ছে। তীব্র গরমে আজব নুর বেগম ফাউন্ডেশন এন্ড ব্লাড ডোনেশন এর উদ্যোগে বিশুদ্ধ পানি বিতরণ রামুর ঈদগড় হতে অস্ত্র ও কার্তুজসহ অস্ত্র কারবারী সহোদর র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার কক্সবাজার বিমানবন্দরে ৪৫০ গ্রাম স্বর্ণসহ যুবক আটক

স্বাধীনতার পরও ২৯ বছর ছিল জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার - প্রতিনিধি

প্রকাশের সময়: 27-03-2024 03:45:36 pm

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। © দেশচিত্র


স্বাধীনতার ৫৪ বছরের মধ্যে উনত্রিশ বছর ছিল এই জাতির জন্য দুর্ভাগ্যের বছর মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সময় পেয়েছিলেন মাত্র তিন বছর সাত মাস। এই অল্প সময়ের মধ্যেই জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি আদায় করে নেন।


বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসে দলটির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যারা বাংলাদেশের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, সহযোগিতা করেছে তাদের আমরা সম্মাননা দিয়েছি। আমরা বাঙালি, আমরা কৃতজ্ঞ জাতি। আমাদের যদি কেউ সহযোগিতা করে আমরা সে সম্মান দেখাতে জানি। আমরা সেটাই প্রমাণ করেছি।


তিনি বলেন, স্বাধীন দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানসহ সব কিছুই জাতির পিতা অল্প সময়ের মধ্যে করে গেছেন। এই অল্প সময়ের মধ্যে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছেন, যেখানে দেশের প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা বলা আছে।


এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেইনিং, অস্ত্র সরবরাহ, সমর্থন দেয়া ও আমাদের সংগ্রামকে যারা সমর্থন দিয়েছে ভারতসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, কেউ বলছে গণতন্ত্র নেই, কেউ বলছে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এমনই কর্মকাণ্ড আমরা স্বাধীনতার পর পর দেখেছি। এই দেশের মানুষ ছিল বঞ্চিত। এমন একটা জাতিকে উদ্ভুদ্ধ করে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দেয়ার মত বঙ্গবন্ধুর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এক নেতাকে বলতে শুনলাম ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গিয়েছিল। আমি তাদের কাছে জানতে চাই, তাহলে যুদ্ধটা করল কে? আজকে যে দলটি বড় বড় কথা বলছে, ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ পালিয়েছিল, তাহলে যে মুক্তিযুদ্ধের সরকার গঠন করা হলো, সেক্টর ভাগ করা হলো, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় জিয়াউর রহমান ছিলো একজন বেতনভুক্ত কর্মচারী। জিয়াউর রহমান যে মেজর থেকে মেজর জেনারেল হলো এই প্রমোশনটা কে দিল? আওয়ামী লীগ দিয়েছে৷


শেখ হাসিনা বলেন, যারা প্রশ্ন করেন, আওয়ামী লীগ কোথায় ছিল, আমি প্রশ্ন করি, আপনারা কোথায় ছিলেন? সোয়াত জাহাজে অস্ত্র এসেছিল পাকিস্তান থেকে। সেই অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছিল জিয়াউর রহমান। সেখান থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসা হয়। ২৫ মার্চ পাকিস্তানিরা যে বাঙালিদের ওপর আক্রমণ চালায়, সে হামলাকারীদের একজন জিয়াউর রহমানও। সেটা চট্টগ্রামে।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা কথা না বলে পারলাম না। বিএনপির এক নেতা চাদর খুলে পুড়ল। যে নেতারা বলছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জন করবেন, তাদের বউদের কয়খানা ভারতীয় শাড়ি আছে? আমি জানি, ঈদের আগে দেখি বিএনপির মন্ত্রীদের বউরা ভারত থেকে শাড়ি এনে বিক্রি করতো। আমি এখন বললো, বিএনপি নেতারা বাসায় গিয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়াবেন, সেদিন বিশ্বাস করবো, আপনারা সত্যি ভারতীয় শাড়ি বর্জন করলেন। ভারতীয় মসলা তারা খেতে পারবে কি না এ উত্তর তাদের দিতে হবে। আপনারা এ পণ্য সত্যি বর্জন করছেন কি না, এ কথাটাই আমরা জানতে চাই।


শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দেশে কিছু আঁতেল আছে। বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন যিনি। বাংলাদেশে একটা কাণ্ড আমরা দেখি, অতি বাম, অতি ডান। স্বাভাবিকভাবে গণতান্ত্রিক ধারাটা তারা পছন্দ করেন না।


যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুকে সময় দেওয়া হয়নি জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়তে বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা না করে উল্টো বিরোধিতা করা হয়েছিল। যারা এখন দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না তারাই জাতির পিতার অবদানকে অস্বীকার করেছিল।

আরও খবর