আশাশুনিতে সরকারীভাবে খনন করা নদীর মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। গত কয়েকদিন যাবৎ আশাশুনির বুধহাটা অংশের বেতনা নদীর বুধহাটা দ্বাদশ শিবকালী মন্দির ও শম্মান ঘাট এলাকার অংশে প্রকাশ্যে শত শত ট্রাক্টর মাটি বিক্রি হলেও রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। এভাবে নদীর মাটি বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মাটি বিক্রেতাদের দাবী, জেলা-উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েই তারা এ কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন। জানা যায়, ২০২২ সালে নদী খনন প্রকল্পে বেতনা নদী খনন শুরু হয়। সে সময় নদীর দুই পাড়সহ পাশর্^বর্তী ২০ ফুট প্রস্থ ও ১০ ফুট উঁচু করে খননের মাটিগুলো রাখা হয়। নিয়মানুযায়ী এসব মাটি কোন ব্যক্তি বিক্রির সুযোগ না থাকলেও জনৈক কতুব উদ্দীন এসব মাটি গাড়ি প্রতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দামে বিক্রি করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত এক্সকেভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে এসব মাটি কেটে প্রায় ৪/৫টি ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি দিন কমপক্ষে ১০০ গাড়ি মাটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। এভাবে মাটি বিক্রি করে এ চক্রটি একদিনে প্রায় লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একই সঙ্গে মাটি বোঝাই ট্রাক্টর চলাচলে রাস্তাঘাটও নষ্ট হচ্ছে। ভেকু ও ট্রাক্টরের চলাচলের শব্দে স্থানীয়দের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। অন্যদিকে, মাটি কাটার আগে তারা মন্দির শশ্মান কিছুই মানছে না।সনাতন ধর্মালম্বীদের সমাধি ভেঙ্গে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীর পাড়ে অপেক্ষায় এক্সকেভেটর মেশিন দ্বারা মাটি কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাটিখেকোরা কুল্যা ব্রীজ থেকে বুধহাটা খেয়াঘাটের পর্যন্ত আধা কিলোমিটার এলাকার মাটি কেটে বিক্রি করে দিয়েছেন। এ সময় সেখানে মাটি বিক্রির দায়িত্বে থাকা কতুবউদ্দীন বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়েই আমরা মাটি বিক্রি করছি। তবে নদী খননের মাটি বিক্রি করার এখতিয়ার উনাদের আছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, বাড়ির পাশেই নদী, অথচ এ মাটি আমাদেরকে নগদ টাকায় কিনে নিতে হচ্ছে। মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত এক্সকেভেটর চালক জানান, ডিসি-ইউএনও, ওসি সবার পারমিশন নিয়েই মাটি কাটা হচ্ছে। বিষয়টি সবাই জানে। এ সময় তিনি নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করে এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। বুধহাটা দ্বাদশ শিব কালী মন্দিরের সাধারন সম্পাদক অজয় পাইন বলেন,মাটি কাটার ফলে আমাদের শম্মান ঘাটের সমাধি স্থল গভীর ভাবে খনন করা হয়েছে।সমাধি স্তল খনন করার ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লেগেছে।এ ব্যাপারে আমরা উদ্ধত্তন কতৃ পক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
৩ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে