আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের ৩৪ বছর আগে রোজার ঈদে সেমাই না পেয়ে অভিমানে ঘর ছেড়েছিলেন রফিকুল ইসলাম (৫৭)। ঈদের দুইদিন আগে সোমবার ঘরে ফেরেন তিনি। এবার ঈদে তিনি মায়ের হাতে খেয়েছেন সেমাই।রফিকুল ইসলাম উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের নৈকাটি গ্রামের মতলেব সরদারের ছেলে। জানা গেছে, রোজার ঈদে সেমাই না আনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯০ সালে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান রফিকুল ইসলাম। সেই থেকে কুমিল্লার মুরাদপুর উপজেলার চুরুলিয়া গ্রামে বসবাস করতেন তিনি। সেখানে বিয়ে করে সংসার পাতেন। তার রয়েছে এক ছেলে ও দুই মেয়ে।রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই মহিদুল সরদ্দার বলেন, ‘১৯৯০ সালে ঈদের দিন আব্বা বাড়িতে সেমাই না আনার কারণে আমার বড় ভাই রফিকুল ইসলাম রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যান। চলে যাওয়া পর ১৯৯২ সাল পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। তার পর থেকে বড় ভাইকে আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। হঠাৎ করে ঈদের দুইদিন আগে সোমবার রাত ১০টার দিকে বড় ভাইয়ের ছেলে আব্দুর রশিদ সরদার আমাদের বাড়িতে আসে। পরে আমরা চুরুলিয়া গ্রামে গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।’ রফিকুল ইসলামের মা শুকজান বিবি বলেন, ‘আমার বড় ছেলে রফিকুল ইসলামকে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর আজা দেখতে পেলাম। আমার বুকের ধন ফিরে এসেছে। এতে আমরা সবাই খুব খুশি।’ বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে চলে গেলে তার বাবা মতলেব সরদার দীর্ঘদিন তাকে খুঁজেছেন। একপর্যায়ে হতাশ হয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ৩৪ বছর পর সেই ছেলে ফিরে আসায় সবাই খুব আনন্দিত।
৩ ঘন্টা ২০ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১৬ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৪ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১ মিনিট আগে