চলমান তীব্র দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে। কাঠফাটা রোদ ও তীব্র গরমে বিপর্যস্ত সকলে। সূর্য ওঠার পর থেকেই বাড়তে থাকে তাপমাত্রার পারদ। অসহনীয় তাপদাহে কষ্ট বাড়ছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের। তীব্র গরমে দিনমজুর, রিকশাওয়ালা, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ ও কৃষকরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এই তীব্র তাপদাহে আবহাওয়া অফিসও কোন সুখবর দিতে পারছে না। তারা ইতোমধ্যেই সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট ঘোষণা করেছে।
তাই জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে প্রচুর বনায়ন তৈরি নিয়ে। সাধারণত সুস্থ, সুন্দর ও বাসযোগ্য ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য যেকোনো দেশের আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে দেশে মোট বন বিভাগ নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ প্রায় ২৩ লাখ হেক্টর, যা দেশের আয়তনের শতকরা ১৫ দশমিক ৫৮ ভাগ। সুতরাং এখনই প্রয়োজন বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
কয়েকদিন আগে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৪ কিলোমিটার জুড়ে আলপনা করে বিশ্ব রেকর্ড করার জন্য উদ্যোগের বাস্তবায়ন দেখেছি যেখানে ৭ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। ঠিক তেমনি এই তীব্র তাপদাহে আমরা কি আবারো এমন একটি উদ্যোগ নিতে পারি না যে বৃক্ষ রোপনের উত্তম সময়ে বৃক্ষরোপন করে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সৃষ্টি করে আমাদের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি করা।
বৃক্ষ রোপণ করলে পরিবেশ বাঁচবে।
ঠিক তেমনি ভাবে রোপণ করা গাছগুলোকে সঠিক পরিচর্যা করে সেগুলো বড় করে তুলতে হবে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে আমরা গাছের চারা রোপণ করি, বড় গাছ না তাই চারা রোপনের সময় পরিচর্যার বিষয়টিও সমান গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগটিই বৃথা হয়ে যাবে।
এই বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে শুরু করে বিভিন্ন এনজিও গুলো ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
তাই এখনই সময় এই বিষয়ে স্বরব হওয়ার। আসুন আমরা আওয়াজ তুলি "বৃক্ষ রোপন করে বিশ্ব রেকর্ড গড়ি।"
মোঃ নাজমুল হাসান: শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
Email: pressnazmulbd@gmail.com