দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচন: ৬৩ জেলায় ১৫৭ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ তিন মাস অন্তর বিদেশি ঋণের প্রকল্পগুলোর কাজের অগ্রগতির প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের মাস্টার্স শেষ পর্বের অশ্রুশিক্ত বিদায় বেইজিংয়ে পুতিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু শ্যামনগরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ জলদস্যুর হাত মুক্ত হয়ে ঘরে ফিরলেন আহমেদ সালেহ, আনন্দে পরিবার ও স্বজনরা আবেগাপ্লুত গোদাগাড়ীতে এক গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা, স্বামী পালাতক ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শেখ হাসিনা: কাদের যুব কর্মসংস্থান কারিগরি ও বৃত্তিমুলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত অভিনব কায়দায় ২ ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ইসলামপুর থানা-পুলিশ জাতীয় শিশু কিশোর প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন কুতুবদিয়ার মেহেজাবিন চৌধুরী চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাঈদীর গাড়িতে গুলিবর্ষণের অভিযোগ রামুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভেজাল বিরোধী অভিযান দাখিলের ফলাফলে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা(রা.) বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় ভরাডুবি! টেকনাফে জলবায়ু পরিবর্তন ও উপকূলীয় জনগণের জীবিকা সহায়তা বিষয়ক কর্মশালা টেকনাফ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মহিলা দলের দুই নেত্রী বহিষ্কার মহেশখালীর ওসমান হত্যার আসামি উখিয়ায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার উখিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে এনজিও সংস্থা এনআরসি’র কর্মীর লাশ উদ্ধার! ৪৬৮ হজযাত্রী বহনকারী বিমানে আগুন, ইন্দোনেশিয়ায় জরুরি অবতরণ

১৮ দিনে ৪২ লাখ আয় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ঈদ স্পেশাল ট্রেনের

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের একটি স্পেশাল ট্রেন ঈদ উপলক্ষে মাত্র ১৮ দিনেই আয় করেছে ৪২ লাখ টাকা। শুধু তাই নয়, অধিক চাহিদার কারণে ট্রেনটির টিকিট বিক্রি শুরু করতে না করতেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়।

এদিকে লোক সংকট আর ইঞ্জিনের অজুহাতে অধিক চাহিদা থাকা সেই ট্রেনই কি-না বন্ধ করে দিতে চাচ্ছে রেলের মহাপরিচালক দপ্তর। অথচ চট্টগ্রামের রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রেনটি চালানোর বিষয়ে সবরকমের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।

ঢাকা-কক্সবাজার রেল রুটে মাত্র দুটি ট্রেন থাকলেও বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে একটি ট্রেনও নেই। তাই টিকিট ছাড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ট্রেন দুটির টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। বলা যায় চট্টগ্রামের যাত্রীরা ট্রেনের টিকিটও পান না। কারণ মাত্র ২০০ সিট বরাদ্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য। তাই টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়েই তাদের ভ্রমণ করতে হয় বাসে।

রেলের পরিবহন ও বাণিজ্যিক দপ্তর জানায়, বর্তমানে সবচেয়ে কক্সবাজার রুটের যাত্রী বেশি। চট্টগ্রাম থেকে তিনটি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। টাইম-টেবিলেও খুব সুন্দর করে ম্যানেজ করে তিনটি ট্রেন অনায়সে চালানো যাবে। এখন যেহেতু একটিও নেই, সেজন্য অন্তত একটি ট্রেন স্থায়ীভাবে এই রুটে চালানো যায়। বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে চলা চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রেনটি।

চট্টগ্রামের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) তারেক মো. ইমরান জানান, কক্সবাজার স্পেশাল-৯ ঈদ উপলক্ষে মাত্র চলেছে ১৮ দিন। এই ১৮ দিনে ট্রেনটি থেকে আমরা আয় করেছি ৪২ লাখ টাকা। ট্রেনটি গত ৮ এপ্রিল থেকে চলাচল শুরু করে। ৮ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিনই যাত্রীদের চাপ ছিল। এখনও এই ট্রেনের এত চাহিদা টিকিট পেতেও অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্বাঞ্চল রেলের ৫ জন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আলাদা ট্রেন দরকার। অন্যকোনো ট্রেনকে চট্টগ্রামে স্টপেজ দিয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত নিয়ে গেলে চট্টগ্রামের যাত্রীরা কোনো সুফল পাবে না। কক্সবাজার স্পেশাল ট্রেনটি স্থায়ীভাবে চলাচল করলে, চট্টগ্রামের মানুষ উপকৃত হবে।

২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর দোহাজার-কক্সবাজার রুট উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে এক ডিসেম্বর এই রুটে ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’ নামে ঢাকা থেকে একটি সরাসরি ট্রেন চালু করা হয়। তারপর চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ নামে আরও একটি ট্রেন চালু করা হয়। সেটিও সরাসরি ঢাকা থেকে কক্সবাজার। এই দুটি ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে টিকিট কেটে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের মানুষদের বিশেষ উপহার হিসেবে এই রুট সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাই রেলওয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগটি বিতর্কিত করার চিন্তা করছে বলে মন্তব্য করেছেন যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন চৌধুরী।তিনি জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী বাসে যাতায়াত করেন। এরমধ্যে অর্ধেকই চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে বাসে চলাচল করে। বাস মালিকদের সুবিধা দিতেই রেল মহাপরিচালক দপ্তর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন বাড়াচ্ছে না।

এই বিষয়ে রেলের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী অবশ্য বলেন, আমরা নীতিগতভাবে একমত; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দিতে হবে। এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। এই রুটে ট্রেন চলুর ডিমান্ডে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবি বিবেচনায় নিয়েই টাইম-টেবিলে দুটি ট্রেন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। দৈনিক কত যাত্রী যায়, আমরা কয়টা ট্রেন চালাতে পারি- এসব। আমরা জানি এই রুটে ট্রেন চালু হলে মানুষের কষ্ট কম হবে। রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। সমস্যা হচ্ছে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট।তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালাতে পারবো। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী একটি ট্রেন কম চালাতে হবে। কারণ হচ্ছে- আমার ইঞ্জিন আছে, বগি আছে, কিন্তু ড্রাইভার নেই। আমরা নিয়োগ দিচ্ছি- কিন্তু অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্যানেল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। চুক্তিতেও পুরোনো লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

Tag
আরও খবর