কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বৈদ্যুতিক তার দিয়ে হত্যার
পরিকল্পনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় মামলা করা হয়েছে, আসামী
পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বুড়িয়া গ্রামের দুলাল
মন্ডলের বাড়িতে। এ ঘটনায় স্ত্রী ভারতী মন্ডল (৩০) এর স্বামী শ্যামল মন্ডল
(৪৪) বাদী হয়ে থানায় (১৬, ২২/০৪/২৪) নং মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা
সূত্রে ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, বুড়িয়া গ্রামের হরিপদ রায়ের ছেলে
রবীন্দ্রনাথ রায় (৪৪) (ডেকোরেটর) দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন
শ্যামল মণ্ডলের স্ত্রী ভারতী মন্ডলকে। সে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত
১৬/০৪/২০২৪ তারিখ বুধবার শ্যামল মন্ডল বাথরুমের পাকা হাউজ নির্মাণ করছিলেন।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নির্মাণের কাজ করার জন্য
মিস্ত্রি ফকরাবাদ গ্রামের জগদীশ মন্ডলের ছেলে গৌতম মন্ডল ও শ্যামল মণ্ডল
হাউজের ভিতরে নামেন। হাউজের ভিতরে নামার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যুতিক তারে শট
খেয়ে ছটফট করতে থাকে। স্থানীয়রা এসে দেখেন পার্শ্ববর্তী অজিত মন্ডলের
ছেলে জয়প্রকাশ মন্ডলের বাড়ির মিটার কেবলের তার লিক করে জি আই তার লাগিয়ে
হাউজের ভিতরে ফেলানো অবস্থায় সংযোগ করা। সেই বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে
ছটফট করতে থাকে শ্যামল মণ্ডল। তাকে গৌতম মন্ডল উদ্ধার করতে গেলে সেও
বৈদ্যুতিক তারে শক খেয়ে ছটফট করতে থাকে। তাৎক্ষণিক কানাই মন্ডলের ছেলে
প্রসেনজিৎ মন্ডল ঔ তার টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলানোর পর গৌতম মন্ডল ও শ্যামল
মন্ডল এ যাত্রায় জীবনে বেঁচে যায়। বৈদ্যুতিক তারে শট খাওয়া মিস্ত্রি গৌতম
মন্ডল জানান, বুধবার সন্ধ্যায় ০১৫৭৫৬৭৪২৭২ নাম্বারে কোন এক ব্যক্তি আমার
ছোট ভাইয়ের কাছে ফোন করে হুমকি দিয়ে বলে কাজ করতে যাসনে যেন। ওখানে কাজ
করতে গেলে মৃত অবধারিত। গৌতম মন্ডল বিষয়টা পরোয়া না করে সকালে কাজ করতে
যেয়েই বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মৃত্যুর মুখোমুখি হয় এবং তাদের হাতের আঙ্গুল
পোড়া সহ পিঠের চামড়া উঠে রক্তাক্ত যখম হয়।
এ
ব্যাপারে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজিৎ কুমার ঘটনা নিশ্চিত করে
জানান, মামলা হয়েছে। আসামীকে ধরার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুত তাকে
আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে ভুক্তভোগী শ্যামল মন্ডল আসামীকে ধরিয়ে দিতে
পারলে তাকে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন এ প্রতিবেদককে। জঘন্য
অপরাধি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে বিষয় নিয়ে এলাকার মানুষের মুখে মুখে
ব্যাপক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। হত্যার পরিকল্পনাকারী রবীন্দ্রনাথ রায়কে দ্রুত
আইনের আওতায় আনার জন্য এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষের কাছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শ্যামল মন্ডল ও গৌতম মন্ডল
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।