সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। গত ৪ এপ্রিল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সে অনুযায়ী কুতুবদিয়া উপজেলা মৎস্য অফিস উপজেলার জেলে ও নৌকার মালিকদের নিয়ে সভা-সমাবেশ, মাইকিং, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে সচেতন ও সতর্ক করেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুতুবদিয়া উপকুলে স্রশতাধিক মাছ ধরার নৌকা ঘাটে নোঙর করে আছে।আবার কোনো কোনো জেলে এসব নৌকার জাল সরঞ্জাম নিয়ে গেছেন বাড়িতে।
এবিষয়ে উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা, মোঃ নাজমুস সাকিব বলেন, ৬৫ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি চাউলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতরণ করা হবে । তিনি আরও বলেন, ৬৫ দিনের মাছ রক্ষার নিষেধাজ্ঞায় যারা সরকারি আইন অমান্য করে সাগরে গিয়ে মাছ শিকার করবে তাদের জেল ও জরিমানা করা হবে।
জেলেরা জানান,সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার দীর্ঘ এ ৬৫দিনে সংসার চালানোর মত তাদের কোন জমানো টাকা নেই। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে মালিকপক্ষও কোন সহযোগিতা করে না। বিগত বছরগুলোতে নানা জটিলতায় ঠিক সময়ে সরকারের বরাদ্দের চাল পাননি।
সঠিক সময়ে চাল বিতরণের ও ঋণের এনজিওর কিস্তি আদায় বন্ধের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জেলেদের।শুধু তাই নয়, নিবন্ধিত হয়েও নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের হাতে সরকারি সহায়তা না পৌঁছানোর অভিযোগও করেছে অনেকে। স্থানীয় কয়েক জনপ্রতিনিধি তাদের পছন্দের জেলেদের সহায়তা করেন বাকিদের সহায়তা করেন না বলে অভিযোগ তুলেন জেলেরা।এসময় জেলেরা আরও বলেন,প্রতি বছর এই দিনগুলো আসলে আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। সরকারের বরাদ্দ পরিমাণ বাড়িয়ে সঠিক সময়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
২ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১১ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে