আশাশুনিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায়
কমপক্ষে ২০ বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। হামলা-পাল্টা হামলায় আহত হয়েছেন ৮ জন।
আহতদের মধ্যে ৩ জনকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ এপর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার
রাতে ও বুধবার সকালে ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।
পরাজিত
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, বিজয়ী চেয়ারম্যান
এবিএম মোস্তাকিমের কর্মী পিরোজপুর গ্রামের মিলন পারভেজের নেতৃত্বে দেশীয়
অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পিরোজপুর গ্রামের রিপন হোসেনের বাড়িতে হামলা
চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে একই গ্রামের আনারুল ইসলাম, সাইফুল ইসলামসহ ২০/২৫
জন পিরোজপুর গ্রামের কমপক্ষে ৫ বাড়িতে তছনছ চিংড়ী মাছ প্রতিকের দু'পোলিং
এজেন্টকে মারপিট করা হয়। বুধবার সকালে বিচ্ছিন্ন হামলায় ভাংচুর করা হয়
গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের আনারুল ইসলাম, কাদাকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান,
তেতুলিয়া গ্রামের সাইফুর রহমান, লিটন সরদার, প্রতাপনগরের আব্দুস সামাদসহ
কমপক্ষে ১০/১৫ জনের বাড়ি। প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহত হয়েছেন
চেউটিয়া গ্রামের আনিচুর রহমান ও তুয়ারডাঙ্গা গ্রামের ইমরান হোসেন সহ
কমপক্ষে ৮জন।
এছাড়া ১১ ইউনিয়নে তার নেতাকর্মীর বাড়িতে ও নির্বাচনী অফিসে চালানো হচ্ছে তান্ডব লীলা।
এ
ব্যাপারে বিজয়ী প্রার্থী এবিএম মোস্তাকিম সাংবাদিকদের জানান, এটা
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতানয়, এটি আসলে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভের
বহি:প্রকাশ। ডালিমের কর্মী-সমর্থকরা গুনাকরকাটি গ্রামের মোশাররফ হোসেন,
গদাইপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ ও বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানার
বামনডাঙ্গাস্থ বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও হত্যার হুমকী দিয়েছে পরাজিত
প্রার্থী ডালিমের কর্মীরা।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার
মতিউর রহমান সিদ্দিকী জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ
জায়গায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহিংসতার ঘটনায় পিরোজপুর
গ্রামের আব্দুর রহমান, আবুল কালাম আযাদ, জাহাঙ্গীর হোসেন সহ ১৩ জনকে আটক
করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনায় আলাদা আলাদা মামলা হবে বলে জানান পুলিশ
সুপার। #