বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়’ রিমালউপকূল অতিক্রম করছে। ফলে তাণ্ডব চালাচ্ছে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায়। এতে উপড়ে গেছে গাছপালা ও ঘরবাড়ি। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের।
রবিবার (২৬ মে) রাত ৯টা থেকে শুরু হওয়া তাণ্ডব সোমবার (২৭ মে) সকালেও অব্যাহত রয়েছে। যার বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম করে বর্তমানে কয়রা ও খুলনার নিকট অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দূর্বল হয়ে ঘুর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে কলাপাড়ায় ১৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র, ২০টি মুজিব কেল্লা, সকল আবাসিক হোটেলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করে সার্বিকভাবে তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসন।
১৬ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১ দিন ৩২ মিনিট আগে
১ দিন ৫ ঘন্টা ১৫ মিনিট আগে
১ দিন ১৭ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
১ দিন ১৭ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
১ দিন ১৭ ঘন্টা ৫৩ মিনিট আগে