যশোরের ঝিকরগাছার পল্লিতে ৮ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমান (৪০) নামে প্রতিবেশি এক লম্পটের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় সোমবার ঝিকরগাছা থানায় ভিকটিমের মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
যার মামলা নং ১২, তারিখ-১০/০৬/২০২৪ইং।
ঘটনাটি ঝিকরগাছার উপজেলার কুমরী গ্রামের পূর্ব পাড়ায় ঘটে।এ ঘটনার পর রাতেই স্থানীয় মেম্বর আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বেে গ্রাম্য মাতব্বাররা শালিসি বৈঠক বসিয়ে ধর্ষক মিজানের পরিবারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ যাত্রায় রফা করে।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। বিষয়টি আলোচিত হওয়ায় খবর পেয়েই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানকে আটক করেছে।আটক মিজানুর রহমান উপজেলার কুমরী গ্রামের আব্দুল গফ্ফারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামী মিজানুর রহমান ও বাদির বাড়ি পাশাপাশি এবং গ্রাম্য চাচা শ্বশুর সম্পর্কের। কারণে অকারণে বাদি ও আসামীদের বাড়ি যাতায়াত ছিল। বাদির ১৪বছরের কিশোরী স্কুলের যাওয়া আশার সময় আসামী বাদির মেয়েকে বিভিন্ন সময় ইয়ার্কির ছলে কটু কথা বলতো।যাহা বাদির মেয়ে বাড়িতে এসে বাদির সাথে বলিত। কিন্তু আসামী বাদির মেয়ের প্রতিবেশী দাদা সম্পর্কের হওয়ায় বাদি কিছু মনে করতো না। আমাসীদের পুকুরে বাদির মেয়ে ও তার চাচাতো ৮ বছরের বোনসহ গোসল করতে গেলেও আসামী পৃথক ভাবে বাদির মেয়েকে প্রলোভন দিয়ে তার ঘরে ডাকতো এবং কু—রুচিপূর্ণ্য কথাবার্তা বলতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) বাদি তার বাড়িতে থাকা অবস্থায় বাদির মেয়ে ও তার চাচাতো বোন দুপুরের সময় আসামীদের পুকুরে গোসল করতে গেলে ঐ সময় আসামীর স্ত্রী ও ছেলে বাড়িতে না থাকায় সুযোগে আসামী কৌশলে বাদির মেয়েকে তার ঘর ঝাডু দিয়ে দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে আসামীর শয়ন কক্ষে নিয়ে যায় এবং শয়ন কক্ষের খাটের উপর বসিয়ে আসামী বাদির মেয়ের শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। এসময় বাদির মেয়ে চিৎকার চেচামেচি করতে গেলে আসামীর খাটের নিচে থাকা ছুরি বের করে বাদীর মেয়ে কে ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে আসামী মিজানুর রহমান বাদির মেয়ের তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে এবং ছুরি দেখিয়ে কাউকে কোন কিছু না বলার জন্য ভয়ভীতি দেখান। বাদির মেয়ে গোসল না করেই কান্না করতে করতে বাড়িতে গিয়ে বাদির সাথে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানান। ঘটনার বিষয়ে বাদি তার শ্বশুর,শাশুড়িকে জানান।
বাদীর শ্বশুর শাশুড়ি ঘটনার বিষয়ে আসামীর স্ত্রীকে জানান। তখন আসামীর স্ত্রী বাদিদের চুপথাকার জন্য অনুরোধ করেন। বাদিসহ বাদির পরিবারের লোকজন মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে চুপ থাকে। বিষয়টি নিয়ে দু পরিবারের মধ্যে কানাঘুষির একপর্যায়ে গ্রামের কিছু লোকের মধ্যে জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে গ্রাম্য মাতব্বররা বিষয়টি নিয়ে আসামীর বাড়িতে রোববার (৯,জুন) রাতে শালিস বৈঠকে বসিয়ে মিজানের পরিবার নিকট থেকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন । বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসলে খবর পেয়ে ঝিকরগাছার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিজানকে আটক করে।
ঝিকরগাছা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)বিএম কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমি সহ আমার টিম তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম কে উদ্ধার করি ও আসামীকে আটক করে থানাতে নিয়ে আসি। আসামির বিরুদ্ধে ৯(১) ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; জোর পূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে মামলা রুজু করে আসামীকে বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৫৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে
৬ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে