পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আনুষঙ্গিক সব কাজ শেষ হয় গত ৩০ জুন। ফলে প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি টানতে মাওয়ায় এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
৫ জুলাই, শুক্রবার দুপুর ৩টা ৫৩ মিনিটে সেতু বিভাগের আয়োজনে এর আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘোষণা করতে অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে রয়েছেন মন্ত্রী-এমপি ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
পদ্মা সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে এই সমাপনী অনুষ্ঠান ও সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এই একই মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ও রেল সংযোগ প্রকল্পের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এর আগে বিকেল ৩টা থেকে আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন।
জানা গেছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি উপলক্ষে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষ। বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথি ছাড়াও থাকবেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে বরণে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা আর সর্বাত্মক প্রস্তুতি থাকার কথা জানিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক আবু জাফর রিপন গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৫ জুলাই বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মাওয়া এলাকায় আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। মূলত পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের মেয়াদ সমাপ্তি উদযাপনে প্রধানমন্ত্রী আসবেন। বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিসহ যারা এই সেতুর কাজে বিভিন্ন সময় অংশ নিয়েছেন, তাদের নিয়ে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সংশ্লিষ্টদের কথা শোনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন ও সব দপ্তরের অংশগ্রহণে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় প্রথম পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। দুর্নীতিচেষ্টার ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে ২০১২ সালের জুনে বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ বাতিল করে। একই বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৪ সালের ১৭ জুন মূল সেতু নির্মাণ কাজের জন্য চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। ওই বছরের ২৬ নভেম্বর সেতুর মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর কাজ উদ্বোধন করেন।
এরপর ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর শেষ স্প্যান বসানো হয়। আর ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন ২৬ জুন পদ্মা সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হয়।
রাজনৈতিক বাদানুবাদ, গুজব, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে প্রমত্তা পদ্মার বুকে এখন সগর্বে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম সেতু। যার সবশেষ মোট বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা।
১ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৩১ মিনিট আগে
১৫ ঘন্টা ৫৭ মিনিট আগে
১৬ ঘন্টা ২ মিনিট আগে