স্বাধীন গণমাধ্যম: সমাজের আয়না ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত: ট্রাম্প লালপুরে পর্নোগ্রাফি অপরাধে শফিউদৌলা গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে ‘লীগ ধর, জেলে ভর, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’ স্লোগানে উত্তাল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিও করার দাবিতে লালপুরে মতবিনিময় সভা সাধারণ মানুষের মাঝে ৫ শতাধিক বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করলেন আহসানুল কবির বাবু পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন যৌথ বাহিনীর অভিযানে চাঁদাবাজ গ্রেফতার শ্যামনগরে তিন দফা দাবীতে ছাত্র জনতার বিক্ষোভ মিছিল সুন্দরবনে পুশইন করা ব্যক্তিদের কাছে মানবিক সাহায্য নিয়ে কোস্টগার্ড গোয়ালন্দে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৩: সুইচ গিয়ার চাকুসহ আটক হোসেনপুরে গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন আদমদীঘিতে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার যমুনা ও সচিবালয়সহ ঢাকায় যেসব এলাকায় সভা-সমাবেশ-মিছিল নিষিদ্ধ ভূমিকম্পে কাঁপল পাকিস্তান নিজ দেশের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে যা বললেন সোনাক্ষী শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের অভিযানে ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি ঘিরে নতুন ঘোষণা হাসনাতের সিলেট সীমান্তবর্তী মেঘালয়ের ৩ জেলায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যার দাবিতে মানববন্ধন

১২ দিন নিখোঁজের পর দাফন হল শহীদ আল আমিনের লাশ

ছবি: দেশচিত্র

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার সাভারের বাইপেল রোডে গুলিবৃদ্ধ হয়ে নিহত হন শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের মগর গ্রামের আল আমিন মালত (২৯)। নিহত হওয়ার পর ১২ দিন নিখোঁজ ছিলেন আল আমিন।

গত ৫ আগষ্ট মিছিলে গিয়েছিলেন আল আমিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের হিমাগারে শনিবার (১৭ আগষ্ট) তার মরদেহের সন্ধান পান তার পরিবার। 

রবিবার (১৮ আগষ্ট) বাদ আসর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আল আমিন মালত মগর গ্রামের ইসমাইল মীর মালত এর সন্তান। সাভারের বাইপাল রোডে পারিবারিক ব্যবসা দেখাশুনা করতেন তিনি।

রবিবার সকালে অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ শরীয়তপুরে আনা হয়। এরপরে বাদ আসর পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়

শহীদ আল আমিনের বোন আফলান সিনথিয়া জানান, 'গত ০৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের এক দফা আন্দোলনের সময় মিছিলে গিয়েছিলেন আমার ভাই, এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। আমরা অনেক খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পাইনি। একটি সুত্রে জানতে পারি যে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের হিমাগারে কয়েকটি বেওয়ারিশ লাশ রয়েছে। শনিবার আমরা সেখানে গিয়ে আমার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করি।

তিনি আরো বলেন, "আমার ভাই রাষ্ট্রের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছেন। আমরা চাই আমার ভাইকে যেন জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়া হয়"।

শহীদ আল আমিনের ছোট ভাই মোহাম্মাদ সাদও সেদিন একই সঙ্গে মিছিলে গিয়েছিলেন। সেদিনের স্মৃতিচারন করে মোহাম্মাদ সাদ জানান, 'সেদিন সাভারের বাইপেল রোডে আমরা একই সঙ্গে মিছিলে গিয়েছিলাম। মিছিল চলাকালীন সময়ে হঠাৎ চারপাশের কয়েকটি বিল্ডিং এর ছাদ থেকে গুলি বর্ষন শুরু হয়। এসময় আমরা সবাই দৌড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। আমি নিরাপদে যেতে পারলেও আমার ভাই পারেননি। এরপর থেকেই আমার ভাইর আর কোন খোঁজ পাইনি। আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকারীসহ সকল খুনিদের শাস্তি চাই।

আরও খবর