কর্মকর্তার অভাবে গত দেড় বছর ধরে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মহিলা বিষয়ক অফিসের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুধু মঙ্গলবার আর অতিরিক্ত কার্যদিবস হিসেবে বুধবারসহ দুই দিন অফিসে আসলেও সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অফিসের কার্যক্রম থাকে ঢিলেঢালা।এর ফলে মহিলা বিষয়ক অফিসে আসা ভুক্তভোগীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিড়ম্বনায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিকুন্নাহার এর বদলি জনিত কারণে চলে যান ২০২৩ সালের মে মাসে। তখন থেকে অতিরিক্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আচ্ছেন নুরুন্নাহার শাহজাদী। বর্তমানে তিনি সৈয়দপুর মহিলা বিষয়ক অফিসে দায়িত্বরত। এছাড়াও তিনি ডোমার ও কিশোরগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। তিন উপজেলায় দায়িত্বে থাকার কারণে কিশোরগঞ্জ উপজেলায় সিডিউল অনুযায়ী সপ্তাহে মঙ্গলবার ও অতিরিক্ত দিন হিসেবে বুধবারসহ দুই দিন অফিস করে থাকেন। আর সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে অফিসের কার্যক্রম থাকে ঢিলেঢালা। এদিকে বাকি দিন গুলো পুরো অফিস চালাচ্ছেন একজন অফিস সহায়ক। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার পদটি শূন্য থাকায় গত দেড় বছর ধরে সৈয়দপুর উপজেলার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এসে সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন চালাচ্ছেন এই অফিসের কার্যক্রম। জানা গেছে, সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন অফিস চললেও বাকি কার্যদিবসে অফিসের কাজ ঢিলেঢালা। এর ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে আসা এ উপজেলার ভুক্তভোগীদের। মহিলা বিষয়ক অফিসে আসা ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌসী জানান,আমি একটি কাজের জন্য অনেকদিন ধরে অফিসে আসি আর ঘুড়ে যাই। অফিসে এসে দেখি ম্যাডাম নাই। অনেকদিন ঘুরার পর জানতে পারলাম ওনি নাকি সপ্তাহে একদিন অফিস করেন। মহিলা বিষয়ক অফিসে আসা আরেক ভুক্তভোগী জানান, আমার মাতৃকালীন ভাতা ব্যাপারে আমি গর্ভবতী অবস্থায় বেশ কয়েকদিন ধরে অফিসে আসলে অফিসারের দেখা পাই নাই। এইভাবে আর কতদিন অফিসে আসতে হবে কে জানে? এ বিষয়ে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা মহিলা বিষযক কর্মকর্তা নুরুন্নাহার শাহজাদী বলেন, আমি তিন উপজেলায় দায়িত্ব পালন করার কারনে সপ্তাহে একদিন কিশোরগঞ্জ উপজেলা অফিস করি। হয়তো একদিন অফিস করায় ভুক্তভোগীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
৪ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে