কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রায় ৫শ'বছরের প্রাচীন মোগল আমলে প্রতিষ্ঠিত 'কালারমার মসজিদ'। এটি উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে অবস্থিত সবচেয়ে প্রাচীন এ মসজিদটি। ঐতিহাসিক নিদর্শন,প্রতিষ্ঠাতার নাম,নির্মাণসন ও নাম করণের সঠিক কোন লিখিত ইতিহাস না থাকলেও জনশ্রুতি রয়েছে প্রায় ৫০০বছর আগে ওই গ্রামের এক মহিয়সী নারী তাঁর স্বামীকে অসিয়ত করেছিলেন তাঁর মৃত্যুর পর যেন একটি স্মৃতি চিহ্ন হিসিবে মসজিদ স্থাপন করা হয়।ওই মহিয়সী নারীর স্বামী তাঁর প্রিয় স্ত্রীর অসিয়তে তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান কালার নামে গোল পাতার ছাউনি দিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করে এটিকে কালারমার মসজিদ নামকরণ করেছিলেন।
দীর্ঘ কালপর ১৮৭৬সনে দিকে সেমিপাঁকা করে মসজিদটি পুন:নির্মাণ করেন বিশিষ্ট জমিদার মরহুম শেখ মুহাম্মদ মনু সিকদার।পরে তাঁর ৩ পুত্র শেখ আজগর আলী সিকদার, শেখ আব্দু রহমান সিকদার,ও শেখ আব্দুচ ছমদ সিকদার যৌথ ভাবে ১৯১৬ সনে একটি ওয়াকফ্ ট্রাষ্ট গঠন করে মসজিদসহ সমাজের জনকল্যাণমুলক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।এতে,১৯৫২ সনে শেখ আব্দুচ ছমদ সিকদারের একমাত্র পুত্র শেখ আব্দুল আজিজ চৌধুরী কারুকার্য সজ্জিত করে মসজিদটি পুন:নির্মাণ করেন।১৯৮০সনের দিকে মরহুম আব্দুল আজিজ চৌধুরীর পুত্র মরহুম শেখ রফিক আহম্মদ চৌধুরী অন্যান্য সংস্কারকাজ সম্পন্ন করেন।দীর্ঘ ২৪/২৫ পর তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রফিক আহম্মদ চৌধুরী মৃত্যু বরণ করলে ১৯৯৮ সনে তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন তাঁর পুত্র ওই ইউনিয়নের তিন বারের সাবেক চেয়ারম্যান আ.স.ম শাহারিয়ার চৌধুরী।
উক্ত মসজিদে প্রতি ওয়াক্তে শত শত মুসল্লীসহ জুমাবারে দুর-দুরান্ত থেকে আসা প্রায় ১২/১৫শ'মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করে থাকেন।এছাড়া, মহিলাদের নামাজ আদায় ও অন্যান্য এবাদত বন্দেগী করার ব্যবস্থা থাকায় প্রতিদিন বহু নারী সমাগম হয় বলে জানা গেছে।এই মসজিদ নিয়ে বহু আলৌকিক ঘটনার কথা শুনা যায় লোখমুখে।এতে করে এ মসজিদের প্রতি অগাধ -ভক্তি-শ্রদ্ধা রয়েছে মুসলমান সহ অনান্য ধর্মাবলম্বীদের। তাই প্রতিদিন উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকাসহ পাশের উপজেলা থেকে বহু ধর্মপ্রাণ নারী পুরুষের সমাগম হয় বলে জানিয়েন স্থানীয়রা।
১২ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
১৩ ঘন্টা ২৩ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ১ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ৪ মিনিট আগে