নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড তাপদাহে এ উপজেলার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।এই গরমে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে উপজেলার নিম্ন আয়ের মানুষজন। ভাদ্র মাসে বৃষ্টি ভরা মৌসুমে নেই কোন বৃষ্টি। সকাল থেকে প্রখর রোদে সবকিছু খাঁ-খাঁ করছে যেন। এই রোদের ঘাম ঝড়ানো তাপমাত্রার কারণে এখানকার শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশা চালক, ঠেলা ও ভ্যান চালকেরা কাজে হিমশিম খাচ্ছেন। গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। অনেকেই গাছের ছায়ায় শীতল পরশ পেতে ঠাঁই নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ একটু স্বস্তি পেতে ঠান্ডা শরবত, লেবু পানি, ডাবের পানি কিংবা আইসক্রীম খেয়ে তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছেন। তাছাড়াও প্রচণ্ড গরমে শিশুসহ বৃদ্ধদের অনেকের দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া রোগ। ঘন ঘন পাতলা পায়খানায় শিশুরা কাহিল হয়ে পড়েছে। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে দেখা দিয়েছে জ্বর-সর্দি-কাশি। উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুটি ঘোপাপাড়ার বাসিন্দা মবার উদ্দিন বলেন, এত অসহ্য গরমে কোন কিছুই ভালো লাগে না। তীব্র গরমে অসহ্য হচ্ছে জনজীবন। ভ্যান চালক আজিজুল ইসলাম জানান, স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক পাঁচশ থেকে আটশত টাকা আয় হলেও এখন হচ্ছে দুই থেকে তিনশত টাকা। আগে বাজার থেকে দশ কেজি চাল কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে দুই কেজি।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে গরমে সঙ্গে তীব্র হয়ে উঠেছে অসহনীয় লোডশেডিং। এতে আরও অতিষ্ঠ এ উপজেলার মানুষ। বিঘ্নিত এলাকাবাসীর দৈনন্দিন জীবন।
৪৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৮ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ১৮ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে