লালপুর মসজিদের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে জয় বাংলা স্লোগান লেখা ফুচকা খেয়ে অভয়নগরে ২১৩ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতসহ দেশী-বিদেশী পর্যটকের ভিড় কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষের ঈদ আনন্দ-উচ্ছাস উখিয়ায় মাদক কারবারি ইমাম হোসেন আটক শিক্ষার্থী ও দুরারোগ্য আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদান চৌদ্দগ্রামে তারেক রহমানের ঈদ উপহার পেলে শহীদ আইয়ুবের পরিবার সাতক্ষীরায় পাটকেলঘাটায় আলামিন ফাজিল মাদ্রাসার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত মাগুরায় গার্মেন্টস মালিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট, হুমকির মুখে গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান টাঙ্গাইলের মধুপুরে মহিলাদের ঈদ পুনর্মিলনী সভায় বক্তব্য দেন জিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক এডভোকেট মোহাম্মদ আলী নবগঠিত এডহক কমিটির সংবর্ধনা ও অভিষেক অনুষ্ঠিত মধুপুরে মহিলাদের ঈদ পুনর্মিলনী করছেন বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন সেনবাগ এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত অনৈতিকভাবে লিজের অভিযোগ রেলওয়ে কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে যারা গুপ্ত রাজনীতি করে তাদের জন্য শুভকামনা নেই, ছাত্রদল সভাপতি আক্কেলপুর মেলায় পুতুল নাচের নামে অশ্লীলতা গুডিয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন. লালপুরে শিবিরের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। ব্যাংক বন্ধ হবে না, ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে একীভূতকরণ: গভর্নর সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতীয় সেনাদের গোলাগুলি, উত্তেজনা জনগণের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী নির্ঘুম থেকে কাজ করছে’

মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি: রাষ্ট্রপতি

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 13-10-2024 06:20:04 am

দেশকে এগিয়ে নিতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটি নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি বলেও মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপ্রধান।


রবিবার (১৩ অক্টোবর) বঙ্গভবনে শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মত বিনিময়ের আগে এক শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


রাষ্ট্রপতি বলেন, সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানব কল্যাণ। আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখানে সবাই একই সূত্রে গাঁথা। এখানে মেজরিটি বা মাইনরিটির কোনো স্থান নেই। সবাই এক এবং অভিন্ন সত্তা। ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও জনকল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।


রাষ্ট্রপ্রধান বিশ্বাস করেন, আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে বিদ্যমান অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি একটি সুন্দর আগামী ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখবে।


সাহাবুদ্দিন বলেন, সমগ্র বিশ্বে যুদ্ধ-বিগ্রহ পরিস্থিতির কারণে মানবতা আজ বিপর্যস্ত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদ পুরো বিশ্ব অর্থনীতির সাথে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এছাড়া দেশের বন্যা কবলিত এলাকার লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছে।


পরোপকারের মহান ব্রত নিয়েই রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের এ সংকটকালে সহায়-সম্বলহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।


রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস আর সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।


১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।


হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি দেশের সকল হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের সাথে মিশে আছে চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। দুর্গাপূজা ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি সামাজিক উৎসবও। সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ এ উৎসবকে সর্বজনীন রূপ দিয়েছে।


রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য অটুট রাখতে হবে।


সাহাবুদ্দিন বলেন, পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের বন্ধনে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হোক এবারের বিজয়ার অঙ্গীকার।


অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বার্তা প্রদান শেষে রাষ্ট্রপতি দরবার হলে সকল অতিথির সাথে কুশল বিনিময় করেন।


এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা, অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি বিশ্বজিৎ দাস, কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, হিন্দু ধর্মীয় গুরু রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী বাসুদেব ধর, সাধারণ সম্পাদক শ্রী সন্তোষ শর্মা এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শ্রী জয়ন্ত কুমার দেব ও সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস কুমার পাল অনুষ্ঠানে অংশ নেন।


এ সময় রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর



deshchitro-67ebd339473e8-010425055121.webp
আনন্দ বাজারে ফারুকের দোকানে আগুন

১ দিন ১০ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে