শৈশবের স্কুল জীবনের স্মৃতি বিজড়িত অনুভূতিগুলো হঠাৎ করেই মনের মাঝে নাড়া দিয়ে উঠে যখন স্কুল প্রাঙ্গণে চোখ পড়ে।
স্কুলজীবনকে ঘিরে আছে হাজারো স্মৃতি আর হাজারো গল্প। স্কুল জীবনের স্মৃতিময় দিনগুলোর দিকে যখন ফিরে তাকাই তখন আবেগপ্রবন হয়ে পড়ি। ইচ্ছে করে আবার চলে যাই সেই সেই সুন্দর সময়টাতে, যে সময়টাতে ছিলোনা কোন চাওয়া আর পাওয়া। এখন আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে অতীতের সবচেয়ে মধুর স্মৃতি কী? চোখ বন্ধ করে আমি বলবো, “ স্কুল জিবন ”
বলছিলাম "মথরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়" এর কথা- অবকাঠাম দিক দিয়ে বিদ্যালয়টি এখন অনেক উন্নত। আমাদের সময় আমরা যখন মাটি আর পুরাতন ইটের গাঁথুনি, ভাঙ্গা দেওয়ালের বেষ্টনীতে উপরে ছিলো পুরাতন টিনের ছাওনি। তথাপিও
স্কুল ও বন্ধুত্বের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন আছে, যা এড়িয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। বন্ধুত্ব টিকে থাকে এক অদৃশ্য বন্ধনে। কারন এখানে থাকেনা কোন স্বার্থ আর চাওয়া পাওয়া। এখানে সবাই খেলার সাথি, পড়ার সাথি - এটাই আমাদের পরিচয় শুধু।
স্কুল জীবনের অনেক শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দের কথা মনে পড়ে- মোস্তোফা স্যার,শামসুর রহমান স্যার, বলাই সার, কামরুজ্জামান স্যার, সুপদ স্যার, মিহির স্যার,আব্দুল মাজেদ স্যার, বর্তমানে এখনো শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন হায়দার স্যার,এছাড়া বর্তমানে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন মিজানুর রহমান স্যার।
আমার স্কুল জীবনের অনেক বন্ধুর কথাই মনে পড়ে তার মধ্যে- ফিরোজ,শাহানুর রহমান, নাসির, রউফ, সাইফুল ইসলাম, মুকুল, আব্দুস সাত্তার,সেলিম রেজা(টিক্কা), জুলফিক্কার, আনোয়ার সে এখন এ বিদ্যালয়ে অফিস প্রধান, জাকির হাসান অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য, মো: নাসির উদ্দীন সে অত্র বিদ্যাালয়ের প্রাক্তন সভাপতি এবং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, মনে পড়ে মেধাবী ছাত্র ভক্ত কুমার বর্তমানে মহান পেশা শিক্ষকতায়। আনিসুর রহমান সে এখন মথুরাপুর বাজারের অন্যতম প্রাথমিক চিকিৎসক।
স্মৃতি বড় বেদনাময়! যখন একসঙ্গে ফুটবল খেলেছি বিশেষ করে সপ্তম শ্রেণীতে, টিফিনের সময়, ফুটবল পায়ে এলেই উপস্থিত শিক্ষকসহ সহপাঠীরা হাতে তালি বাজাত গোল গোল বলে আর প্রশংসায় ভাসতাম সেরা খেলোয়ার হিসেবে। সেই ফুটবল টিমের নাসির, রউপ,হাফিজ, শাহানুর,ভক্ত আজ তারা যার যার কাজে সেই ব্যস্ত। সময় বহমান, সময় কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
মথুরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্কুল জীবনের গন্ডি পেরিয়ে এস,এস,সি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে ইন্টারমিডিয়েট পড়ার জন্য চলে যায় সরকারি এম এম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, নওয়াপাড়া সরকারি ডিগ্রী কলেজ, অতঃপর সরকারি বি,এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পেরিয়ে আজ আমি পদার্পন করেছি "দক্ষিণ নড়াইল শিমুলিয়া মহাবিদ্যালয়" এ শিক্ষকতার মহান পেশায়।
চলার পথে যখন চোখে পড়ে,কিম্বা সন্তানদের যখন পৌঁছে দিই সেই স্মৃতি মাখা বিদ্যাপীঠে পড়ার জন্য, তখন মনে পড়ে কত শত কথা, ভেসে আসে স্মৃতিময় মধু মাখা দিনগুলি! উন্মুক্ত প্রকৃতির মাঝে সাগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকুক আমার প্রিয় "মথরাপুর পুড়াখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়।" সুনাম ছড়িয়ে পড়ুক প্রতিটি মানুষের অন্তরে।
৩ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৪৬ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৩৯ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ৪৯ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৫ ঘন্টা ২৯ মিনিট আগে