কক্সবাজারে জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লাখাইয়ে সাংবাদিক এমএ ওয়াহেদ এর মায়ের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক। জয়পুরহাটে অপ চিকিৎসায় পঙ্গুত্ববরণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শাজাহানপুরে শারিরীক প্রতিবন্ধী মেয়ে ধর্ষণের স্বীকার পুতিন যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘ছলনা’ করছেন: জেলেনস্কি আজ পৃথিবীর অন্যতম বড় ইফতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জাতিসংঘ মহাসচিব কে নিয়ে কক্সবাজার প্রধান উপদেষ্টা কুবিতে আছিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে থাকবে জাতিসংঘ: গুতেরেস রাজবাড়ীতে ৭৫ পুরিয়া হেরোইনসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার । সুন্দরবনে কোস্টগার্ডের অভিযানে ২৮ কেজি হরিণের মাংস সহ আটক ১ যমজ সন্তানদের পরিবারের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শ্যামনগর পৌরসভার জন্মনিবন্ধন জটিলতার সমাধান করলেন ইউএনও রণী খাতুন শ্যামনগর বনশ্রী শিক্ষা নিকেতনের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলীর মৃত্যু ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে শিবিরের সপ্তাহব্যাপী গণইফতার কর্মসূচি বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কী? প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব মাঈনউদ্দিন আল-মাহীর কবিতা - "শব্দহীন অভিমান" ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন লালপুরে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, ছাত্রদল নেতাসহ আটক ২

অফিস ভাংচুর, বাসা ও মৎস্য ঘের জবর দখল




সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর, ক্রয়কৃত বাসা ও মৎস্য ঘের জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট আটকে দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখার ব্যবস্থা করেছে।


আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডল জানান, আঃ মজিদের ছেলে তৌহিদুর রহমান কাটাখালী মৌজার ৭৭ শতক জমি বিক্রয়ের জন্য বায়নাপত্র করে দিয়ে আমার হিসাবের খাতায় সহি স্বাক্ষর করে দিয়ে বিভিন্ন সময় ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করেন। এরপর কলেজের পিছনে বাড়ির জমি স্ট্যাম্পে লেখাপড়া করে দিয়ে ৭ লক্ষ টাকা গ্রহন করে ১০ শতক জমির পজেশন হস্তান্তর করেন ২০১৭ সালের ৭ নভেম্বর। আমি বাড়িটি অনেক টাকা খরচ করে সুন্দর করে গড়ে তুলি।


এরপর তৌহিদ লিখিত চুক্তিপত্রে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। তার চাচা ভাইরা ভারতের নাগরিক হওয়ায় লিখে দিতে না পেরে আমার নিকট থেকে কোন টাকা নেয়নি মিথ্যা দাবী করে আদালতে ২/১০/২৪ তাং ১৭৬৭/২৪ নং মামলা করলে বিজ্ঞ আদালত সিআইডির উপর তদন্তের আদেশ করেন। তদন্ত শেষে সিআইডি অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ার রিপোর্ট দাখিল করেন।


এছাড়া তৌহিদুর পুনরায় ২ লক্ষ টাকা গ্রহন করে ৪৫৪/২৪ নং কোবালা দলিল করে দেয়। অপরদিকে তার ৭৭ শতক জমির পাশে তাদের ৪ বিঘা জমি বিবেকানন্দ মন্ডল ওরফে লিটনের কাছে ২০২৪ সালে ৩ বছরের জন্য ডিড করে দিয়ে ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা তৌহিদুর গ্রহন করে। ডিড নিয়ে লিটন মাছ চাষ শুরু করেন। কিন্তু গোপনে তৌহিদ ঘের দখলের ষড়যন্ত্র করতে থাকলে লিটন বাদী হয়ে আদালতে ১৭৬৭/২৪ নং ১৪৫ ধারা মামলা করেন। তাপরও তৌহিদ আদালতকে তুয়াক্কা না করে ২২ আগষ্ট ঘেরে জবর দখলে যায়।


বাধ্য হয়ে আদালতে ১৮৮ ধারায় আবেদন করলে আদালত থানা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে শান্তি শৃংখলা রক্ষা ও তদন্তেন আদেশ করেন। তারপরও তৌহিদ আইন অমান্য করে ২৫ অক্টোবর শম্ভুজিত মন্ডলের টাইলস, থাই গ্রাস বসানো অফিস ভেঙ্গে বিক্রয় করতে থাকলে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে মালামাল আটকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুভাস মন্ডলের জিম্মায় রাখেন।


ডিড নিয়ে মৎস্য ঘেরে মাছ চাষকারী লিটন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি ডিড নিয়ে বৈধ ভাবে মৎস্য ঘেরে মাছ চাষ করছি। কিন্তু ডিডদাতা বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আমার ঘের জবর দখল করে ডিড দেয়াসহ শম্ভুজিত মন্ডলের ক্রয়কৃত জমির ঘেরের মাছ ধরে নিয়ে আত্মসাত করে চলেছে। অফিস ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই প্রশাসন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আদালতের সহায়তার অপেক্ষায় আছি।


জবর দখলকারী তৌহিদুর রহমান বলেন, শম্ভু বাবু ২২, ২৩ সালে ডিড নিয়ে ঘের করেন। ২৪ সালে লিটন ৫ বছরের জন্য ডিড নিয় ৩ বছরের হারির টাকা শোধ করেন। অপরদিকে শম্ভুজিত মন্ডল কাটাকালি মৌজায় ৭৭ শতক জমি ক্রয় করেন। তবে এ্যাওয়াজ করে কলেজের পাশের জমি দখল নেন। আবার আশরাফ গাজী সাহেবের কাটাখালি মৌজার ঐ ৭৭ শতক জমির মধ্যে ৫০ শতক এ্যাওয়াজ করে বদরতলার ৫০ শতক জমি ছেড়ে দিয়েছেন। কাটাখালীর বাকী ২৭ শতক জমির হারি আমার বোন নিয়ে থাকে বলে তিনি (তৌহিদ) স্বীকার করেন। অপরদিকে কলেজের পাশে (হস্তান্তরকৃত বাড়ির পজেশান) শম্ভুজিত মন্ডল অফিস ঘর তৈরি করে ব্যবহার করে এসেছেন।


গত শুক্রবার ঘরটি ভায়চুর করা হয়, তবে তিনি নন, কলেজের শিক্ষকদের সহায়তায় ভাংচুর করা হয় বলে জানান। ভাড়া চুক্তিতে বসবাস করা ঘরে বসবাসের পর ছেড়ে যেয়ে বসত ঘর ও মৎস্য ঘের দখল করলেন কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে ঘরে উঠিয়ে দিয়েছেন। শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, তৌহিদুর কাগজপত্র নিযে আমার কাছে আসলে আমি থানা-আর্মি ক্যাম্পে যেতে বলি। থানা থেকে বলেন, কাগজপত্র দৃষ্টে জমি তৌহিদুরের জানা গেছে। আপনি তাকে ঘরে যাওয়ায় সহযোগিতা করেন। আমি বলি আপনি বললে সেটাই যথেষ্ট, আমাকে দখল দিতে যেতে হবে কেন। তখন তৌহিদ নিজেই ঘরে উঠেছে। আমি সেখানে যায়নি।

Tag
আরও খবর