ইরানের মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠল ইসরায়েল, ভয়াবহ ক্ষতির শঙ্কা সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না: সিইসি মৌলভীবাজারে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের অভিযোগে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ছাত্রজনতার মানববন্ধন বুধহাটা বিশিষ্ট সমাজ সেবক সুপদ সরকার আর নেই। সমুদ্রসীমার পরিপূর্ণ হাইড্রোগ্রাফিক তথ্যভাণ্ডার গড়ে তুলতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা মাভাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার শ্যামনগরে শিশু অধিকার বিষয়ে এনসিটিএফ সংলাপ দরগাপাশা'র ৬নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জামায়াত নেতা হাজী মো মশিউর রহমান কে সংবর্ধনা মাদক এবং কিশোর গ্যাং বড় সামাজিক সমস্যা ওসি আমিনুল ইসলাম বছরের পর বছর মানুষ এই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে লড়েছে-শহীদ উদ্দীন চৌধুরি এ্যানি অনেক গণমাধ্যম জুলাই গণ অভুত্থানকে ধারণ করে না- এনসিপি নেত্রী মনিরা শারমিন জয়পুরহাটে সেনাবাহিনীর অভিযানে অবৈধ অ্যালকোহল ও কাঁচামাল উদ্ধার জবির একটি হলের নাম 'বিশ্বজিৎ দাস হল' রাখার আহ্বান গণ অধিকার পরিষদ নেতার ইরান- ফিলিস্তিনে বর্বর ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে লালপুরে বিক্ষোভ জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী দল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত শরণার্থীদের বোঝা সবচেয়ে বেশি বহন করতে হচ্ছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর' আদমদীঘিতে নাশকতা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত চার প্রকল্প ও কর্মসূচিতে ১৩০ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি মেডিকেল শিক্ষার্থী প্রার্থনা অনন্য দৃষ্টান্ত

শুল্ক ছাড়ের পণ্যে চড়া দাম!

দেশচিত্র নিউজ ডেস্ক

প্রকাশের সময়: 15-11-2024 09:52:17 am

গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে শীতের সবজির দাম কমলেও সরকারের শুল্ক ছাড় দেয়া নিত্যপণ্যের বাজারে আলু, পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে। চাল ও তেলের দামে মেলেনি সুফল। এখনও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।


শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।


এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৬০-৮০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।


কারওয়ান বাজারে আসা রোকন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে সবজির দাম কমেছে কিছুটা। কিন্তু আলুর দাম বেড়েই চলেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পান। আশা করি, শিগগিরই দাম নাগালের মধ্যে আসবে।


অপরদিকে শুল্ক ছাড়ের পণ্য ভারতের পাশাপাশি মিশরের পেঁয়াজ মিলছে বাজারে। দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। তবু এর দাম চড়া। খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৫০ টাকায়; আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকায়। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৭.৭৪ শতাংশ।


ব্যবসায়ীদের দাবি, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত বাজার একটু চড়াই থাকবে। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আরমান জানান, পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়। এছাড়া, মিশরীয় পেঁয়াজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি থাকলে দাম কিছুটা নাগালে থাকতে পারে।


দাম বৃদ্ধির একই প্রবণতা দেখা গেছে আলুর বাজারেও। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়, যা গত মাসের তুলনায় ২১.৭৪ শতাংশ ও গত বছরের তুলনায় ৩৩.৩৩ শতাংশ বেশি।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলু ৫৪ থেকে ৫৫ টাকায় কেনা গেলেও এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। তাই খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি বছর মৌসুমের শেষদিকে আলুর দাম বাড়ে। এছাড়া, কোল্ড স্টোরেজগুলো থেকে পর্যাপ্ত আলু দিচ্ছে না।


এদিকে সবজির মতো মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহে আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।


সপ্তাহের শেষে মুরগির দামও কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।


সবজি, মাংস ও মাছের দাম কমলেও চড়া চালের বাজার। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বাজারে মোটা চালের দর কেজিতে ৫২-৫৫ টাকা, আর চিকন চাল ৬৮-৮০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে মোটা ও চিকন চালের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১.৯ শতাংশ ও ২.৭৮ শতাংশ।



চাল বিক্রেতারা জানান, আমন ধান ওঠা শুরু হলে বাজারে দাম কমতে শুরু করবে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, আটাশ ৬০-৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এদিকে, রমজানকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে ছোলা ও তেলের দাম। বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়। আর প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ও পাম তেল যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৮০ ও ১৮০ টাকা।


টিসিবির বাজারদরের তথ্যেও প্রমাণ মিলেছে দাম বৃদ্ধির। জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। লিটারে ১২ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়ে খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে।


ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে ডিলাররা বাড়াতে শুরু করে পণ্যের দাম। পর্যাপ্ত তেল সরবরাহ করছে না। এক মাসের ব্যবধানে তেলের দাম লিটারে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

আরও খবর




684da0fea0620-140625101910.webp
দেশে সোনার দামে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ

৬ দিন ১৪ ঘন্টা ৩৬ মিনিট আগে