থানকুনি (Thankuni Pata) আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। ভেষজ গুণে সমৃদ্ধ থানকুনি গাছ বা থানকুনি পাতার রসে রয়েছে শরীরের জন্য প্রচুর উপকারী খনিজ ও ভিটামিন জাতীয় পদার্থ। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica। থানকুনি পাতা দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। এছড়াও এটি বাংলাদেশ, ভারত, সিংহল, উত্তর অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, পাপুয়া নিউ গিনি ও এশিয়ার অন্যান্য প্রান্তে পাওয়া যায়। রোগ চিকিৎসার অঙ্গনে থানকুনি পাতার অবদান অপরিসীম। খাদ্য হিসাবে এই পাতা সরাসরি খেলে রোগ নিরাময়ে যথার্থ ভূমিকা রাখতে পারে। ভেষজ হিসাবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাবিদ্যায়। পাতাগুলো দেখতে গোলাকার ও সবুজ এবং ছোট আকৃতির। গাছ গুলোও আকারে ছোট হয়।
থানকুনি পাতা – Benefit of centella asiatica
থানকুনি পাতা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়ঃ
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
রক্ত দূষণ ভাল হয়।
আমাশয়ের মতো সমস্যা দূর হয়।
ক্রিমির প্রকোপও কমে।
লিভারের সমস্যা ভাল হয়।
চুল পড়া কমায় ও চর্ম রোগ রোধ হয়।
রক্ত জমে থাকার আশঙ্কা কমায়।
কাটা ও ক্ষত স্থানে থানকুনি বাটা বেশ উপকারী
পেট ব্যথা ভাল হয় থানকুনিতে।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ে।
অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়।
ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কাশি ও জ্বরের প্রকোপ কমে।
খুসখুসে কাশিতে উপকার পাওয়া যায়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
পেটে গ্যাস এর সমস্যা কাটায় থানকুনি পাতার রস।
পেটের অসুখে থানকুনির ব্যবহার বেশ প্রচলিত চিকিৎসা।
মুখে ঘা ও অন্যান্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেশ উপকারী
মুখ মলিন হওয়া ও লাবণ্যতা কমে যাওয়ায় থানকুনি পাতা বেশ উপকারী
ঠাণ্ডায় বা সর্দি জ্বরে নাক বন্ধ হলে থানকুনি পাতা বেশ উপকারী।
ঘন ঘন জ্বর বা আমাশয় থেকে রক্ষা পেতেও থানকুনির রস কাজে দেয়।
মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে থানকুনি পাতার রস খেতে পারেন।
ছোট বাচ্চাদের পেটের অসুখ এবং দেরিতে কথা বলা বা কথা অস্পষ্ট এই ক্ষেত্রে থানকুনি বেশ কার্জক্রর
কি কি উপাদান আছে
সেন্টেল্লায় এশিয়াটিকোসাইড, ব্রাহ্মোসাইড, অ্যাসিইয়্যাটিক অ্যাসিড এবং ব্রাহ্মিক অ্যাসিড (ম্যাড্যাস্যাসিক অ্যাসিড) সহ পেন্টাসাইক্লিক ট্রাইটারপেনয়েড রয়েছে। অন্যান্য উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে সেন্টিলোজ, সেন্টেলোসাইড এবং ম্যাডেক্যাসোসাইড।
কখন খাবেন, কিভাবে খাবেনঃ
সকালে থানকুনির রস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার হয়।
থানকুনি পাতার ভর্তা দুপুরে বা রাতে খাবারের তালিকায় রাখা যায়।
কাঁচা দুধের সাথে থানকুনি পাতা মিক্স করে খেলে গেস্ট্রিক দূর হয়।
সকালে থানকুনি পাতার রস আর মধু মিশিয়ে খেলে রক্ত দূষণ দূর হবে।
খুশ খুশে কাশিতে চিনির সাথে থানকুনি রস মিক্স করে খাবেন।
আমাশয় থেকে রক্ষা পেতে সকালে থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাবেন বা রস খাবেন।
পেট ব্যথা ভালো হওয়ার জন্য গরম ভাতের সাথে থানকুনি পাতা ভেটে খাবেন।
প্রতি দিন সকালে থানকুনির রস ১ চামচ, ৫/৬ ফোঁটা হলুদের রস (বাচ্চাদের লিভারের দোষে) সামান্য চিনি ও মধুসহ ১ মাস খেলে লিভারের সমস্যা ভালো হয়।
১১ দিন ১ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে
২০ দিন ১৬ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে
২৫ দিন ৩ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
৩৬ দিন ২১ ঘন্টা ২৫ মিনিট আগে
৪২ দিন ১০ ঘন্টা ১০ মিনিট আগে
৪৫ দিন ২০ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
৪৮ দিন ২১ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
৫৮ দিন ৯ ঘন্টা ৪০ মিনিট আগে