শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা কর্মিরা পুর্ণঃউদ্যেমে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে

দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের গোদাগাড়ী তানোরের তৃণমূলের মাঠ গোছানো ও বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী - তানোর) এর ধানের শীষের কান্ডারী, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ শরীফ উদ্দীন।
এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় তৃণমূলের নেতা কর্মিদের নিয়ে কর্মি সমাবেশ করে চলেছেন তিনি । তৃণমূলের প্রবীণ, কারা নির্যাতিত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে সবার আগে এরকমই জানিয়েছে দলটির শীর্ষস্থানীয় এ নেতা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শরীফ উদ্দীন বলেন, “যারা বিগত দিনে আমাদের সাথে লড়াই সংগ্রামে রাজপথে ছিলো , কারা বরণ করেছিল এবং ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের মূল্যায়ন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি একটি বড় দল। দলে কিছুটা মতবিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু গোদাগাড়ী তানোরে আমরা সবাই এক হয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে চাই।”
গত আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আমূল পরিবর্তন আসে গোদাগাড়ী তানোর বিএনপির। তার নেতৃত্বে দীর্ঘ সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি ও তার অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে ফিরে আসে উদ্দীপনা। তবে এই নেতা বলছেন, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ যাতে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। সেই দিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, “গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট ও জালিম সরকারকে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে বিতারিত করেছে। শেখ হাসিনা দেশকে ভালবাসেনা, তাই দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেছে। এর ফলে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত ও দেশ পুনরায় স্বাধীন হয়েছে। আমাদের দলের উপরে দীর্ঘদিন অত্যাচার নিপীড়ন করেছে শেখ হাসিনার দৌসর বাহিনী। নিযার্তিত নেতাকর্মীরা আবার পুর্ণঃউদ্যেমে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সংগঠনে মনোনিবেশ করছে।”
দলে অনুপ্রবেশ ঠেকানোই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করে তিনি আরও বলেন,“বিগত সময়ে আমরা যখন স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন লড়াই সংগ্রাম করেছি তখন আমরা কতটা অত্যাচারিত ছিলাম আপনারা তা জানেন। কিন্ত এখন একটি বিষয় খুব উদ্বেগ এর সাথে লক্ষ্য করছি আমাদের দলেও কিছু অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ করে পুকুর দখল, ডিপ দখল, চাঁদাবাজী করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। আমি আমাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলবো আপনারা এগুলো অনুপ্রবেশকারীদের থেকে সর্তক থাকবেন।”
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মালেক বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ শরীফ উদ্দীনের নেতৃত্বে “দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রামে রাজপথে ছিলো গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমাদের নেতা কর্মিরা সবচেয়ে বেশি নিযার্তিত হয়েছিল। আমাদের গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে আমাদের নেতা শরীফ উদ্দিন উপজেলার প্রতিট ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গিয়ে কর্মি সমাবেশ ও পথ সভা করছে। তিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে এখন তৃণমূলের বিএনপি পুর্ণঃউদ্যেমে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে।
মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু বলেন, বিএনপির মুল শক্তি হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মী। আমদের নেতা শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের ভিতরে প্রাণসঞ্চালনা ফিরে পাচ্ছে। গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি অতীতের যে কোন সময় চেয়ে বর্তমানে সুশৃঙ্খল সুসংগঠিত অবস্থায় আছে।
তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বলছে, আমরা সাবেক মন্ত্রী গোদাগাড়ী তানোরের উন্নয়নের রুপকার মরহুম ব্যারিস্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই, সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবঃ) মোঃ শরীফ উদ্দীনের নেতৃত্বে এক আছি, এক থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলমান থাকব।
দলছুট গুটি কয়েক বগি নেতা গোদাগাড়ী তানোরে তৃণমূল বিএনপির মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে বিভিন্ এলাকায় ছুটে বেড়াছে। তারা বিএনপির মধ্যে থেকে ফ্যাসিস্ট ও জালিম হাসিনা সরকারের সময় আওয়ামীলীগের কাছ থেকে সুবিধা ভোগ করেছিল আজ তারাই বিএনপির মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে কাজ করছে। আমরা তাদের পিছনে নাই। আমরা শহীদ জিয়ার দল বিএনপিকে ভালোবাসী।
শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে গোদাগাড়ী তানোরের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের ভিতরে প্রাণসঞ্চালনা ফিরে পেয়েছে এবং বিএনপি পুর্ণঃউদ্যেমে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে।