বাংলাদেশে ডাটা সেন্টার স্থাপন করবে টিকটক যে কারণে সংলাপে ডাক পাচ্ছে না জাপা ১১ অক্টোবর বন্ধ থাকবে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান লোকেশন পাল্টায়নি শেখ হাসিনা বড়লেখায় বিশেষ অভিযানে আওয়ামীলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪ বশেফমুবিপ্রবিতে ডিবেটিং সোসাইটির বিতর্ক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন বড়লেখায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময় ডাঃ শাহাদাত হোসেনকে চসিক’র মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ কুড়িগ্রামে ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয়া দুর্গাপুঁজা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন অক্টোবরেই চালু হচ্ছে সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর ভাঙন অব্যাহত, তীর সংরক্ষণের পরও ২০ মিটারে ধ্বস ইসলামপুরে যুবদল নেতা মুসা শেখ এবং পারভেজ ফারাজীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস উদযাপন ডোমারে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ দুর্গাপূজায় আট দিনের ছুটিতে বশেফমুবিপ্রবি মহানবীকে (সা.) ভারতীয় পুরোহিতের কটূক্তির প্রতিবাদে রাজশাহী কলেজে বিক্ষোভ ৫আগষ্টে আহত আরিফ; অভাব ঘোচাতে যেয়ে ফিরলেন পরিবারের বোঝা হয়ে আল হাইয়া ও বেফাক বোর্ডের মেধা তালিকায় স্থান করে ওমরায় গেলেন শ্রীমঙ্গলের বরুণা মাদরাসার ৫ শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান কলেজের শিক্ষকদের কক্ষে আটক রেখে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ

১৯৭১ সালের ( ৩ই ডিসেম্বর ) পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁও


স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার  প্রতিরোধে  ১৯৭১ সালের নভেম্বরের শেষ থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি সৈন্যরা।  তুমুল লড়াই ও তীব্র প্রতিরোধের ফলে পাকিস্তানি বাহিনী  টিকে থাকতে পারেনি  দেশের উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁয়ে। 

অবশেষে  এ অঞ্চলের স্বাধীনকামী মানুষেরা নিজ মাতৃভূমির অঞ্চল  ঠাকুরগাঁওকে ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর  পাকিস্তানি বাহিনী থেকে মুক্ত করতে  সক্ষম হয় । এ কারণেই আজকের দিনটিকে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

প্রতিবারের মতো এবারো নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের পর সারা দেশের মতো ঠাকুরগাঁয়েও পাকিস্তানি সৈন্যরা আক্রমণ করে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর। গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠনে মেতে ওঠে তারা। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জাটিভাঙ্গা ও রাণীশংকৈলে খুনিয়া দীঘির পাড়ে মুক্তিকামীদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়। ১৭ এপ্রিল জগন্নাথপুর, গড়েয়া শুখাপনপুকুরী এলাকার মুক্তিকামী মানুষ ভারত অভিমুখে যাত্রাকালে স্থানীয় রাজাকাররা তাদের আটক করে। পরে তাদের পাথরাজ নদীর তীরে গুলি করে হত্যা করা হয়।

একইভাবে রাণীশংকৈল উপজেলার খুনিয়া দীঘির পাড়ে গণহত্যা চালানো হয়। পাকিস্তানি বাহিনী ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী  , হরিপুর,  

পীরগঞ্চ  ও রাণীশংকৈল উপজেলার স্বাধীনকামী ও নিরীহ সাধারণ মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করে। নির্বিচারে হত্যার কারণে পরবর্তীকালে এটি খুনিয়া দীঘি নামে পরিচিতি লাভ করে।

১৯৭১ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যেই আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে চলে যায় ঠাকুরগাঁও। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিরোধে সংগঠিত হতে থাকে ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিকামী মানুষরাও।  

স্কোয়াড্রন লিডার এম খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে ৬ নম্বর সেক্টরের অধীন তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহকুমার মুক্তিকামী মানুষেরা ঝাঁপিয়ে পড়ে  নিজ মা মাতৃকার মাটিকে হানাদারমুক্ত করতে।  

২৯ নভেম্বর ঠাকুরগাঁওয়ের তৎকালীন পঞ্চগড় থানা প্রথম শত্রুমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাতছাড়া হওয়ার পর মনোবল ভেঙে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর।

২ ডিসেম্বর রাতে ঠাকুরগাঁয়ে প্রচন্ড গোলাগুলি শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণ -পণ লড়াইয়ে সে রাতেই শত্রুবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছু হটতে শুরু করে। অবস্থান নেয় ২৫ মাইল নামক স্থানে।  

৩ ডিসেম্বর ভোররাতে শত্রুমুক্ত হয় ঠাকুরগাঁও শহর। সকাল থেকেই ঠাকুরগাঁও শহরে মানুষ জড়ো হতে থাকে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বের হয় আনন্দ মিছিল। হাজার মানুষের কণ্ঠে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হয় ঠাকুরগাঁওয়ের পথঘাট।

Tag
আরও খবর

67057cd72babd-091024124127.webp
লোকেশন পাল্টায়নি শেখ হাসিনা

৩ ঘন্টা ৫২ মিনিট আগে