লাখাইয়ে দেদারসে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব, দেখার যেন কেউ নেই।
লাখাইয়ে দেদারসে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব, দেখার যেন কেউ নেই।
লাখাই উপজেলা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ৫নং করাব,৩নং মুড়িয়াউক,৬নং বুল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাতভর কৃষি জমির মাটি কাটা চলছে মহোৎসব। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , উপজেলার প্রভাবশালীরা বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিবেশ আইন অমান্য করে প্রতিদিন রাতভর কৃষি জমি উপরিভাগের মাটি কেটে সরবরাহ করে বিক্রি করছে উপজেলার গ্রামের বসত ভিটা , হাট বাজারে দোকানপাঠের মলিকদের কাছে। ফলে কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য ও হুমকির মুখে পড়েছে । পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষি জমি মাটি কাটা দন্ডনীয় অপরাধ । কৃষি বিদদের মতে , জমির উপরিভাগের চার থেকে ছয় ইনচি গভীর মাটিতেই মূল পুষ্টি গুণ থাকে । মাটির এই স্তর কেটে নেওয়ার জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে । এ জন্য অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করে ও কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যাবে না । এতে সারের পেছনে কৃষকের অতিরিক্ত খরচ করতে হবে । কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে , সাধারণত একখানি জমিতে প্রায় ৩৫ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হয় । কিন্তু টপ সয়েল কেটে নেওয়া জমিতে এর দ্বিগুণ সার দিতে হয়, ফলন ও স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে । এ ভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে কৃষি জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। খুঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬নং বুল্লা ইউনিয়নের হাওর এলাকায় রাতভর ফসলি জমি থেকে এক্সকেভেটর ( ভেকু) দিয়ে গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভূমি দস্যুরা । তাদের পেছনে কোনো অদৃশ্য শক্তি রয়েছে বলে এলাকায় চলছে নানা সমালোচনা । বুল্লা ইউনিয়নের কৃষক মোঃ সায়েম মিয়া বলেন , আমার ১খানি জমি,আমাকে লোভ দেখিয়ে ১০হাজার টাকা দিয়ে সম্পূর্ণ মাটি নিয়ে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে প্রভাবশালী জৈনিক ব্যক্তি, এখন এই জমিতে চাষ করতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে , ১বস্তা সার প্রয়োগ করছি,কিন্তু ধানের চারা গাছের কোন ফলন দেখছি না। টমটম চালক জাবেল মিয়া বলেন, পাওয়ার ট্রলি , ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহনের ফলে পথচারী গ্রামীণ সড়ক সহ পাকা সড়ক গুলো অনেক ক্ষতি হচ্ছে । অত্র ইউনিয়নের সচেতন লোক জন নিষেধ করলেও ভূমি দস্যুরা এসব কথা শুনতে নারাজ। চলতি মৌসুমে দেদারসে হাট-বাজার দোকান পাঠ ও বাসাবাড়ি বিট বরাট চলছে । এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের হুমকি ধামকি ভয় দেখিয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না । দুই ফসলি কৃষি জমি ও বিভিন্ন তরিতরকারি ফসল উৎপাদন হলেও জমির মালিকের নানা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। সমাজের সচেতন মহল মনে করেন, প্রশাসন চাইলে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে পারে । কিন্তু তারা এ গুলো বন্ধ করতে ইচ্ছুক নয় । এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন ,আমি এই বিষয়টা খুঁজ নিয়ে দেখবো।