হামিদের বিদেশ গমন ও আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন আইন উপদেষ্টা ভারতের ৫০ সেনাকে হত্যার দাবি পাকিস্তানের আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে অবস্থান জুমার পরও চলবে: হাসনাত ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ ইলিয়াস কাঞ্চনের জেপিবির শার্শায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী ও মাদক ব্যবসায়ীসহ আটক-৩ দুর্যোগ বিষয়ক মহড়া সাগর পাড়ের জীবন যুদ্ধ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ আগুন সাবেক মেয়র আইভি গ্রেফতার সাতক্ষীরায় বিএসটিআই অনুমোদিত লাইসেন্স না থাকায় দুই ড্রিংকিং ওয়াটার মালিককে জরিমানা খুবিতে প্রফেসর দীপক কামাল মেমোরিয়াল স্কলারশিপ পেলন ১৬ শিক্ষার্থী মানবতার সেবায় রেড ক্রিসেন্টের ভূমিকা অতুলনীয় - চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থানের ঘোষণা ঝিনাইগাতীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ১৬টি টাওয়ারসহ পাইপ ধ্বংস, ১টি ট্রাক ও ২টি মাহিন্দ্র জব্দ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে, অভিযোগ পদবঞ্চিত নেতাদের কৃষ্ণনগরে কালিকাপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসায় এডহক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত নিয়মিত ক্রু মিটিং বাস্তবায়ন করায় পুরস্কার পেলেন বাকৃবির রোভার স্কাউট লিডার প্রথমবারের মতো ইন্টার্নশিপ পেল বাকৃবির মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা আশাশুনিতে অঙ্কনের মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের সম্পদ ও ঝুঁকি চিহ্নিত করণ কর্মশালা পীরগাছায় ভাবীর হোটেলে ১৯৯টাকায় পাওয়া যাবে একটি মোটরসাইকেল ভারতের ১৫ শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পাকিস্তানের, দাবি দিল্লির

কলারোয়ায় ১৭৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহিদ মিনার




মহান ভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছরেও সাতক্ষীরা কলারোয়ায় বেশিরভাগ স্কুল-কলেজে গড়ে ওঠেনি শহিদ মিনার। স্বীকৃত ২১৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো শহিদ মিনার। এছাড়া উপজেলার কোনো মাদ্রাসায় নেই একটিও শহিদ মিনার।

সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি ইউনিয়নের কোথাও আজও স্থাপন করা হয়নি একটি শহিদ মিনার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভা ও উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে শহিদ মিনার রয়েছে ৩৪টি।

এর মধ্যে কলারোয়া ফুটবল ময়দানে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, কলারোয়া গার্লস পাইলট হাইস্কুল, কলারোয়া সরকারি প্রাইমারি স্কুল, তুলসীডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুল, গোপিনাথপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুল এই ৮টি শহিদ মিনার কলারোয়া পৌরসভাধীন।

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মিত শহিদ মিনারগুলো হলো: হেলাতলা ইউনিয়নের দমদম মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হেলাতলা আইডিয়াল হাইস্কুল, কাজীরহাট হাইস্কুল, ঝাঁপাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নগর ইউনিয়নের সরসকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরসকাটি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়নগর বদরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়, ধানদিয়া হাইস্কুল, দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো হাইস্কুল, দেয়াড়া হাইস্কুল, কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের পানিকাউরিয়া হাইস্কুল, কেরালকাতা ইউনিয়নের কেকেইপি হাইস্কুল, চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজার, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ, চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর, বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দুড়িয়া কেসিজি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিজলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়, সোনাবাড়িয়া সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ও বিবিআরএনএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নের কেএল হাইস্কুল, যুগিখালি ইউনিয়নের বামনখালি হাইস্কুল প্রাঙ্গণ। উপজেলার কয়লা ও জালালাবাদ ইউনিয়নে কোনো শহিদ মিনার নেই বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, উপজেলায় ২৭টি এমপিওভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদ্রাসার কোথাও গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়নি একটিও শহিদ মিনার। তবে হতাশার বিষয় হলো, উপজেলার ১২টি বেসরকারি কলেজের মধ্যে ৭টি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হয়নি কোন শহিদ মিনার।

কলারোয়া সরকারি কলেজ, শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রি কলেজ, বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ, চন্দনপুর ইউনাইটেড কলেজ ও সোনাবাড়িয়া সোনার বাংলা ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে কেবলমাত্র শহিদ মিনার রয়েছে। এ প্রজন্মের অনেক শিক্ষার্থী কলেজে এসে ক্যাম্পাসে শহিদ মিনার দেখছে না।

এদের অনেকেই তাদের স্কুল প্রাঙ্গণে শহিদ মিনার দেখে এসেছে। শহিদ মিনারবিহীন অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহিদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে পারে না।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বেসরকারি কলেজের চেয়ে শহিদ মিনার নির্মাণের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কেননা, উপজেলার এমপিওভুক্ত ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৭টিতে শহিদ মিনার রয়েছে। অপরদিকে উপজেলার ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে শহিদ মিনার রয়েছে ৭টি: কলারোয়া, তুলসীডাঙ্গা, গোপিনাথপুর, রঘুনাথপুর, ঝাঁপাঘাট, হিজলদি ও বয়ারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

কলারোয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এইচএম রোকনুজ্জামান জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনারের গুরুত্ব অপরিসীম। ইতোমধ্যে শহিদ মিনারের সংখ্যা জানতে চেয়ে পত্র দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পত্রে দেওয়া তথ্য আমরা প্রদান করেছি।

সাতক্ষীরা জেলার ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব ভাষা সৈনিক প্রয়াত আলহাজ্ব শেখ আমানুল্লাহ তাঁর জীবদ্দশায় অনেক অনুষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার গড়ে তোলার কথা বলতেন। তিনি প্রয়াত হয়েছেন ৮ বছর। কিন্তু তাঁর লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে প্রয়াত এই ভাষা সৈনিকের প্রতি আমরা প্রকৃত শ্রদ্ধা দেখাতে পারি।

এর জন্য প্রয়োজন উদ্যোগ ও সমন্বিত প্রয়াস। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ও নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম-ভাষাপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে সকল শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা করা দরকার শহিদ মিনার-এমনটি মনে করেন ভাষাপ্রেমী মানুষ।


Tag
আরও খবর