রাজবাড়ীতে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব দুটি পরিবারের ঠাঁই খোলা আকাশের নিচে, মানবেতর দিনাতিপাত
রাজবাড়ীতে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব দুটি পরিবারের ঠাঁই খোলা আকাশের নিচে, মানবেতর দিনাতিপাত
রাজবাড়ির গোয়ালন্দে আগুনে পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে হতদরিদ্র আমিরুল শেখ (২৬) ও তার খালা মিনু বেগম (৬০)।
বসবাসের একমাত্র ঘর পুড়ে যাওয়ায় অসহায় পরিবার দুটির ৫ জন সদস্য খেয়ে না খেয়ে এক কাপড়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) দুপরে উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের বদন মৃধা পাড়ায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন আলাপকালে বিধবা মিনু বেগম জানান, তার স্বামী সন্তান নাই। নিজে ভিক্ষা করে বৃদ্ধা মা ভানু বেগমের (৮০) সঙ্গে কোন মতে দিনাতিপাত করছি। রাতে রাস্তার পাশে আমার এই ছাপড়া ঘরটিতে মা-মেয়ে ঘুমাতাম। কিন্তু গতকাল তা পুড়ে যাওয়ার পর শূন্য ভিটেতেই গতরাত কাটিয়েছি। পরনে গতকালেরই ভিটে কাপড়। আর কোন পোশাক নাই। দুইদিন বাড়িতে রান্নাও বন্ধ।
আমিরুলের মা আমেনা বেগম জানান, তার ছেলে গ্রামে গ্রামে ঘুরে পুরোনো ভাঙাচোরা জিনিসপত্র সংগ্রহ করে। দিনশেষে তা বিক্রি করে কোন মতে স্ত্রী -সন্তান নিয়ে চলে যাচ্ছে। আগুনে বসবাসের একমাত্র ঘরটি পুড়ে যাওয়ায় শূন্য ভিটেতেই গতরাত কাটিয়েছে। আজ ওরা গেছে এক গ্রামে ঘর মেরামতের জন্য কিছু সংগ্রহ করতে।
তিনি বলেন, হাতে কোন টাকা পয়সা নাই।ঘরেও কোন খাদ্য সামগ্রী নাই। নতুন করে ঘর তুলবে সেই সামর্থ্যও নাই। দশজনের সাহায্য ছাড়া এখন আমাদের কোন উপায় নেই। এ পর্যন্ত কোন জায়গা থেকে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতাও কেউ দেয়নি।
স্হানীয় সমাজকর্মী আবুল হোসেন জানান, হতদরিদ্র পরিবার দুটির জন্য জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এ জন্য তিনি সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের-স্টেশন অফিসার মোঃ আব্দুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু তার বাড়ি থাকা আসবারপত্র ও মালা মাল আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে পাশে খালেক নামে একজনের ভুসিমালের গোডাউন ছিলো। আমরা দ্রুত সময়ের মাঝে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার কারনে সেই গোডাউনে থাকা অন্তত ২০ লক্ষ টাকার মালামাল রক্ষা পায়।