ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস গুম প্রতিরোধে এক মাসের মধ্যে আইন, গঠিত হচ্ছে শক্তিশালী কমিশন সাতক্ষীরায় জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সভা তাণ্ডবে পাইরেসির হানা ট্রাক মালিককে হয়রানির অভিযোগে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে মোংলায় বাস যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে মুল্যবান কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ ০২ জন গ্রেপ্তার নড়িয়ায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ বন্ধ শেরপুরের শ্রীবরদীতে সুদের টাকা না পেয়ে গাছে বেঁধে ব্যবসায়ীকে নির্যাতন জয়পুরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত-১, শিশুসহ আহত ৫ নোয়াখালীতে এসিড নিক্ষেপের ভয় দেখায় জোরপূর্বক দর্শন গ্রেপ্তার ১ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত ইসরায়েলে নতুন করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা কেন জরুরি? একদিনে আরও ২৬ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১ পাল্টা হামলার মুখে যাত্রী ছাড়াই বিদেশে বিমান সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে সমাঝোতা একটি ইতিবাচক দিক : আতিকুর রহমান জামায়াতের ১নং ওয়ার্ড কর্তৃক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাণিজ্যমেলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন রায়গঞ্জে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু

আজ ৯ ডিসেম্বর অভয়নগর মুক্ত দিবস।

৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক যশোরের অভয়নগর উপজেলা মুক্ত দিবস।১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল যশোর জেলার অভয়নগরের মানুষ।  



 অভয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা  সূত্রে জানা গেছে, অভয়নগরের মুক্তিযোদ্ধারা তিনটি গ্রুপে ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে নড়াইল জেলার খড়লিয়া গ্রামে শ্যাম দারোগার বাড়িতে আশ্রয় নেন। ৬ ডিসেম্বর যশোর জেলা মুক্ত হওয়ার পর ৭ ডিসেম্বর সকালে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অভয়নগর উপজেলার তিনটি জুট মিলে তাদের ক্যাম্প স্থাপন করে।

 ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হানাদার বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় মুক্তি বাহিনী উপজেলার রাজঘাট ও শেষ সীমানার মধ্যবর্তী স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। যুদ্ধ চলাকালীন সময় মেজর জলিলের নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী ও মুক্তি বাহিনী মনিরামপুর উপজেলা হয়ে ভবদহের টেকা নদী পার হয়ে অভয়নগরে প্রবেশ করে। ওইদিন রাতে মিত্র ও মুক্তি বাহিনী পুনরায় যৌথভাবে পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর আক্রম চালিয়ে তাদের পিছু হটতে বাধ্য করে।  

 

পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটে খুলনা জেলার শিরোমনি ও ফুলতলা উপজেলা এলাকায় পালিয়ে যায়। ৯ ডিসেম্বর অভয়নগর উপজেলা হয় হানাদার মুক্ত। এদিন হাজার হাজার মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে অভয়নগরের মাটিতে স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা উত্তোলন করে।

 

৯ ডিসেম্বর অভয়নগরবাসী শত্রু মুক্ত হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত মুক্ত অভয়নগরের হাজার হাজার মানুষ উল্লাসে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে আকাশে স্বাধীনতার পতাকা উড়িয়ে দেয়। সেই সাথে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে অভয়নগরবাসী হয় শত্রু মুক্ত। সেদিন থেকে উড়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা। তার পর থেকে ৯ ডিসেম্বর আসলে অভয়নগর মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি উদ্যাপন করে অভয়নগরবাসী।

Tag