জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠিত হয়েছে "জবি নিরাপত্তা সেল"। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হামলা ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট হওয়ায়, শিক্ষার্থীদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তত্ত্বাবধানে এই সেল গঠিত হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, যেখানে বর্তমানে ১৬,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হওয়ায়, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলার লক্ষ্যে "জবি নিরাপত্তা সেল" গঠন করা হয়েছে।
এই সেলের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সংযুক্ত হতে পারবেন এবং জরুরি মুহূর্তে সহায়তা গ্রহণ করতে পারবেন। সেলের মূল কার্যক্রম ও লক্ষ্যগুলো হলো: কোনো শিক্ষার্থী বিপদে পড়লে তিনি "জবি নিরাপত্তা সেল" এর সদস্যদের অবহিত করতে পারবেন। প্রাপ্ত তথ্য দ্রুততম সময়ে সেলের অন্যান্য সদস্যদের জানানো হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থানরত সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, স্থানীয় থানা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সংগঠিত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে, যা যেকোনো নিরাপত্তাজনিত সংকটে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, সাবেক শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একে শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়েছে। "জবি নিরাপত্তা সেল" এর সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহীরা জবি নিরাপত্তা সেল পেজে ম্যাসেজ দিতে পারেন অথবা নিরাপত্তা সেলের যেকোনো সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, "জবিতে নিরাপত্তা সেল গঠিত হয়েছে, যে কোন সময়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা কোন সমস্যায় পড়লে তাৎক্ষণিক কাজ করবে এই সেল, যেহেতু দেশের আইন শৃঙ্খলা, ও প্রশাসনের টাল মাতাল অবস্থায় যে কারো নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান রয়েছে তাই আমরাই আমাদের ভাই বোনদের ডাকে এগিয়ে আসবো। গত ঘটনায় স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদ করেও কোন সুরাহা হয়নি এমনকি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমি আশা করছি এই সেলের মাধ্যমে অন্ততো আমাদের শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক সাহায্য করতে পারবো।"
৪৬ মিনিট আগে
১ ঘন্টা ৩০ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
৯ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
১৮ ঘন্টা ৫৮ মিনিট আগে
২৩ ঘন্টা ৪৪ মিনিট আগে
১ দিন ২ ঘন্টা ৪৩ মিনিট আগে
১ দিন ৩ ঘন্টা ৭ মিনিট আগে