রাস্তাকে কেন্দ্র করে ইমামের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন আক্কেলপুরে.
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গ্রামের যাতায়াতের রাস্তাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ইমাম আব্দুল খালেকের উপর প্রতিবেশীর দ্বারা হামলা ও মারপিটের প্রতিবাদে এলাকাবাসী, জনসাধারণ ও ইমাম মোয়াজ্জিনবৃন্দের ব্যানারে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে প্রধান সড়কে মানববন্ধন করা হয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় ডান চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসাধীর রয়েছেন ওই ইমাম।ওই ঘটনায় থানায় মামলা হলে একজন আসামী গ্রেফতার হওয়ার পরে সকল আসামীরা জামিন পাওয়ায় মানববন্ধনে তাদের জামিন বাতিল করে পুনরায় গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম চপল,জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি মাহমুদুর রহমান রিপন, জামায়াতে ইসলামীর পৌর সেক্রেটারী চিকিৎসক রিপন হোসেন, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ, পৌর ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা নুরুন নবী, আক্কেলপুর শিক্ষার্থী পরিবারের সভাপতি, ইব্রাহিম হোসেন সম্রাট।
জানা গেছে,গত ২৭ ফ্রেব্রুয়ারী বিকালে পৌর এলাকার শ্রীকৃষ্টপুরে গ্রামের যাতায়াতের রাস্তাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মসজিদের ইমাম আব্দুল খালেকের সাথে প্রতিবেশী সাজুর সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জের ধরে ২৮ ফেব্রুয়ারী ফজর নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাজু ইমামের উপর হামলা করে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। এসময় ইমামের ডান চোখে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত হন তিনি।স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সিটিটিউট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।পরে ইমামের ভাই আব্দুল মতিন বাদি হয়ে থানায় অভিযুক্ত সাজুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ সাজুর শ্বশুড় আশরাফ আলীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই আদালত থেকে জামিন পায় আসামী আশরাফ আলীসহ অন্যরা।
মানববন্ধনে উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, সামান্য রাস্তা নিয়ে মসজিদের ইমামের উপর হামলা করে মারপিট করা মোটেও ঠিক হয়নি। এতে সকল ইমামের মর্যাদা হানি করা হয়েছে। তার উপর হামলাকারীদের জামিন বাতিল করে তাদের পুনরায় গ্রেপ্তার করতে হবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাজুর শশুড় আশরাফ আলী বলেন, গ্রামের রাস্তা নিয়ে আমার জামাই ও ইমামের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আমার সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও তারা আমার বাড়িঘরে হামলা করে আমার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করেছে। তারা আমার নামে মামলা করলে আমি গ্রেপ্তার হওয়ার দুই দিন পর আদালত আমাকে জামিন দেয়।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, ইমামকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়। পরে আদালত ওই মামলার সকল আসামীকে জামিন দেন।