বনবিভাগের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি ১৯ মার্চ বুধবার দুপুরে শেরপুরে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ঝিনাইগাতী উপজেলার রাংটিয়া রেঞ্জ এলাকার শালবন সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমি এবং গাছপালার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত অবস্থা যাচাই করেন। এর আগে তদন্ত কমিটির সদস্যরা গজনী এলাকায় বনরানী রিসোর্টে স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী, ইআরটি সদস্য এবং বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠককালে তদন্ত কমিটি শালবনে আগুন লাগার কারণ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের মতামত গ্রহণ করেন। বন অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক এ.এস.এম. জহির উদ্দিন আকন-এর সভাপতিত্বে ৫ সদস্যের এ তদন্ত কমিটিতে সদস্যসচিব ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ.ন.ম. আব্দুল ওয়াদুদ। এছাড়াও তদন্ত কমিটির অন্য তিন সদস্য ছিলেন– প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য গবেষক পাভেল পার্থ, আইইউসিএন বাংলাদেশ-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সারোয়ার আলম এবং আরণ্যক ফাউন্ডেশনের পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য বিশেষজ্ঞ বখতিয়ার নূর সিদ্দীকি। তদন্ত কমিটির প্রধান বন অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের বন সংরক্ষক এ.এস.এম. জহির উদ্দিন আকন জানিয়েছেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। অংশীজন, স্থানীয় অধিবাসী, বনবিভাগের লোকজন এবং মিডিয়ার লোকদের সাথে কথা বলেছি। খুব শীঘ্রই আমরা রাংটিয়া রেঞ্জের শালবনে অগ্নিকাণ্ডের প্রেক্ষিতে বন ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, নিরসন এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কে আমরা আমাদের সুপারিশমালা পেশ করবো। উল্লেখ্য, গত ৩ থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন অফিসের আওতাধীন শেরপুরের ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জ এলাকার ৯ হেক্টর বনভূমির অন্তত ১০/১২ টি পৃথক স্থানে শালবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে বিচ্ছিন্নভাবে বনবিভাগের অন্তত ৩ একর বনভূমি এবং ব্যক্তিগত মালিকানাধীন আরও অন্তত ২ একর শালবনের গাছপালা, লতাগুল্ম ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। এ বিষয়ে বনবিভাগের পক্ষ থেকে ঝিনাইগাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা করা হয়েছে।
১ ঘন্টা ৫৯ মিনিট আগে
২ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ১৪ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২১ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ২৭ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৩৩ মিনিট আগে