জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নে আইন অমান্য করে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের অবৈধভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে আমদই ইউনিয়ন ছাত্রদলের একাংশ। সেখানে উপস্থিত থাকা আমদই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম বালু উত্তলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে মারধোর করেন ছাত্রদলের আরেক একাংশ।
এবিষয়ে ১৯ মার্চ (বুধবার) ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ ইশতিয়াক হোসেন বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় অভিযোগ করে বলেন,১৮/০৩/২০১৫ ইং তারিখ রোজ-
মঙ্গলবার আনুমানিক বৈকাল ৪ ঘটিকার সময় অবৈধ ভাবে মুরারীপুর তুলশীগঙ্গা নদীতে বালু
উত্তোলন করতে গেলে আমার বাবা বাধা প্রদান করে। ছাত্রদলের একাংশ উত্তেজিত হইয়া আমার বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি করে বিবাদীগণ চলে যায়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমদই ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ইছামদ্দিন সহ সকল সদস্যগণ বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার জন্য উভয়কে অনুরোধ করেন ইং ১৯/০৩/২০২৫ তারিখ সকাল অনুঃ ১১.০০ ঘটিকায় উভয়পক্ষ উপস্থিত হয়ে হাত ধরে মাফ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংশা হয়।
তবে আমার বাবা বাড়ির আসার পথে জয়পুরহাট আমদই ইউনিয়ন পরিষদের মুল ফটকের সামনে দুপুর অনুঃ ১.৩০ ঘটিকার সময় আমদই ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ শাখার ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ ছাব্বির (২৫), পিতা- কুদ্দুছ আমদই ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ হৃদয় (২১), পিতা- মোঃ সুজাউল ইসলাম,মোঃ আরিফুল ইসলাম (২৮), পিতা- আবুল কালাম,মোঃ শরিফুল ইসলাম পিতা-আবুল কালাম, মোঃ বারিক (২৪), পিতা- জায়ের, মোঃ আরিফ (২৫) পিতা- রাজ্জাক, দেশীয় অস্ত্রে স্বরে সজ্জিত হয়ে আমার বাবাকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিলে আমার পিতার সর্ব শরীরের বেদনাযুক্ত জখম হয়। ১নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রোড দ্বারা আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করিলে আমার পিতা বাম হাত দ্বারা ঠেকাইলে বাম হাত ভাঙ্গিয়া গিয়া বেদনাযুক্ত জখম হয় এবং মাটিতে পড়িয়া গেলে আমার বাবা প্রাণ ভয়ে চিৎকারে করিতে থাকে।
ভুক্তভোগি ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন,গত ইং ১৮/০৩/২৫ তারিখ অবৈধ ভালো ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ছাত্রদলের মানবন্ধন হয়। সেখানে উপস্থিত হয়ে বালু ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে আমি কিছু বক্তব্য প্রদান করি এবং প্রতিবাদ জানাই তার প্রেক্ষিতে ছাত্রদলের একাংশ আমার প্রতি মিমাংসা হওয়ার পরও হামলা চালায়।
এবিষয়ে বিবাদী আরিফুল ইসলাম বলেন,আমি জমির মালিকদের থেকে ১০০( একশত) টাকা প্রতি গাড়ি মাটি ক্রয় করেছি।মানববন্ধন করলে তারা করবে ইউনিয়ন ছাত্রদল কেনো করবে। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ভিত্তিহীন।
এবিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)নুর আলম সিদ্দিক বলেন,ইউপি সদস্যকে মারামারি বিষয়ে একটি মামলা দায়ের হয়েছে মামলার পর থেকে আসামীরা পলাতক আছে তাদের গ্রেফতার চেষ্টা অব্যহত আছে।