জবি প্রতিনিধি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদের কবর জিয়ারত ও তাঁর পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে শাখা ইসলামি ছাত্রশিবির।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) টাঙ্গাইলের ধনবাড়িতে এই কবর জিয়ারত ও সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শহীদের চাচা স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম ও অর্থ সম্পাদক মাইন উদ্দিনের কাছে।
তিনি বলেন, “সাজিদ শুধু আমাদের পরিবারের নয়, পুরো গ্রামেরই ভালোবাসার মানুষ ছিল। তার শাহাদাতের কারণে শুধু তার পরিবার নয়, এই গ্রামের প্রতিটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদের স্মরণে যথাযথ কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।”
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, “আগের ইউএনও কয়েকবার এলেও, নতুন ইউএনও দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার কবর জিয়ারতে আসেন। সঙ্গে আনেন মাত্র এক প্যাকেট জুস ও এক কেজি কমলা। এ নিয়ে আমরা বড় ধরনের বিড়ম্বনায় পড়েছিলাম—না পারলাম ছোটদের খাওয়াতে, না পারলাম মসজিদের ইফতারিতে দিতে। এরপর ২৭ মার্চ(বৃহস্পতিবার) তিনি আবার এলেন, এবার সঙ্গে আনলেন দুই কেজি চাল, এক প্যাকেট সেমাই ও এক কেজি চিনি। প্রশ্ন হলো, আমরা এসব নিয়ে কী করবো? তাঁরা বড় বড় প্যাকেট করে এসব নিয়ে আসেন, যাতে স্থানীয়রা মনে করে আমাদের অনেক কিছু দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু বাস্তবে তা তুচ্ছ সহায়তার মতো মনে হয়।”
শহীদের পরিবারের দাবি, শুধু সাজিদের পরিবার নয়, পুরো গ্রাম তার শাহাদাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই রমজান বা ঈদ উপলক্ষে সাজিদের মাগফিরাত কামনা করে যদি ফুড প্যাকেজ বা চাল-ডাল বিতরণ করা হতো, তাহলে তা সবার জন্য উপকারী হতো। কিন্তু প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
উল্লেখ্য এসময় শহীদ ইকরামুল হক সাজিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়।
১৬ ঘন্টা ২২ মিনিট আগে
১৭ ঘন্টা ৬ মিনিট আগে
১৮ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
১৮ ঘন্টা ৫৫ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৩৮ মিনিট আগে
১৯ ঘন্টা ৪৫ মিনিট আগে