"টেকসই জ্বালানি এখনই চাই, জীবাশ্ম জ্বালানি বিদায়" স্লোগান ব্যবহার করে সৌর ও বায়ু শক্তির দিকে রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরায় সকাল ১০টায় জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে সাতক্ষীরা ইকোলোজিকাল উন্নয়ন ফেরামের উদ্যোগে SoDESH, CLEAN এবং BWGED-এর নেতৃত্বে একটি মানববন্ধন প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ধীরে ধীরে বন্ধ করা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণের জাতীয় দাবির প্রতিধ্বনি করেছে। এই প্রতিবাদটি বাঁশখালী আন্দোলনের স্মরণে এবং জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত হয়েছিল।
প্রতিবাদকারীরা উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ এখনও প্রধান অবস্থানে রয়েছে। তারা সরকারের নীতিগুলোকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেন, যা জলবায়ু প্রতিশ্রুতি ও অর্থনৈতিক স্থায়িত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
স্বদেশ সংস্থার নির্বাহি সম্পাদক মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন,"বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কোন পথে হাটবে। বাঁশখালীর ঘটনা প্রমাণ করে যে জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু পরিবেশই নয়, জনজীবনের জন্যও বিপদজনক । ২০১৬ সালে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করতে গিয়ে কৃষিজমি ও কবরস্থান রক্ষার দাবিতে যেসব মানুষ জীবন দিয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে আজকের কর্মসূচি ছিল এক প্রতিজ্ঞা— উন্নয়নের নামে আর যেন সাধারণ জনগণের প্রাণ না ঝরে।
পথসভায় বক্তারা বলেন "আমরা হয় ধ্বংসাত্মক জীবাশ্ম জ্বালানির পথ অব্যাহত রাখব, নয়তো পরিচ্ছন্ন ও সাশ্রয়ী শক্তির মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ বেছে নেব।" অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফোরম সদস্য আঃ সামাদ, তুষার কান্তি মন্ডল, স্বপন পান্ডে, যুব প্রতিনিধি, নিরব, কওসার আলী, জয় সরদার দেবজ্যোতি ঘোষ, নারী নেত্রী মাইদা মিজান, প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহণকারীদের দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে তারা আরও প্রতিবাদ ও প্রচারণার মাধ্যমে সরকারকে টেকসই জ্বালানি নীতিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
১ ঘন্টা ৯ মিনিট আগে
৩ ঘন্টা ৫১ মিনিট আগে
৪ ঘন্টা ১৩ মিনিট আগে
৭ ঘন্টা ২৪ মিনিট আগে
১২ ঘন্টা ৪১ মিনিট আগে
১৪ ঘন্টা ১২ মিনিট আগে