রাজবাড়ীতে ওটিপি প্রতারণায় ৮ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ।
প্রতারণা
করে সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকের এক গ্রাহকের ৮ লাখ টাকা তুলে নেওয়ার
অভিযোগে আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুরে এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে
রাজবাড়ী জেলা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ফরিদপুরের ভাঙ্গা
উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের মো. মান্নান বেপারীর ছেলে মো. পান্নু বেপারী
(২৯) একই উপজেলার মো. কালা মিয়া মাতব্বরের ছেলে মো. রাজু মাতুব্বর (৩২) ও
মো. সাজু মাতব্বর, মো. কুদ্দুস তালুকদারের ছেলে মো. মাসুদ তালুকদার।
ভুক্তভোগী প্রতিভা রানী দাস বালিয়াকান্দি সরকারি কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের প্রভাষক। সে বহরপুর দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ
জানায়, প্রতারক চক্র প্রথমে নিজেকে সোনালী ব্যাংক ঢাকা হেড অফিসের
কর্মকর্তা পরিচয়ে কথা বলে। এর কিছু সময় পরে চক্রটির অন্য সদস্য ভুক্তভোগীর
সোনালী ব্যাংক একাউন্টের নমিনী সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এনআইডি ও ছবি
চেয়ে মোবাইলে ওটিপি যাবে বলে জানায়। এর কিছু সময় পরে ৩৫ মিনিট ব্যবধানে
ভুক্তভোগীর মোবাইলে একাধিক ওটিপি আসতে থাকে। ভুক্তভোগী সরল মনে তাদের
সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ভেবে ওটিপি (কোড) জানিয়ে দেয়। এর পরেই
ভুক্তভোগীর সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ লাখ টাকা তুলে নেয় চক্রটি।
সহকারী
পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার বলেন, গত শুক্রবার (১৮ এপ্রিল)
ভুক্তভোগী প্রতিভা রানী দাস বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করে।
এর পরেই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক চক্রটির লোকেশন চিহ্নিত করা
হয়। এর পর গত শনিবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে তাদের
গ্রেপ্তার করা হয়।এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি স্মার্ট ফোন, ২টি বাটন ফোন,
১৬টি বিভিন্ন অপারেটারের সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন,
প্রাথমিক তদন্তে আসামিদের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওয়া
গেছে।তারা আন্ত:জেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের কাজই প্রযুক্তির
অপব্যবহার করে নিজেদের ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রাহকের ওটিপি (কোড)
নিয়ে টাকা তুলে নেওয়া।