জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নয়দিন পূর্বে নিখোঁজ হওয়া তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া স্কুলছাত্র কাফি খন্দকার (৮) নামে একটি শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৬ এপ্রিল (শনিবার) বেলা ১২টায় ওই শিশুর নিজ গ্রাম উপজেলার সহলাপাড়ায় ভিতর গাড়ী নামক কচুরিপানাযুক্ত একটি ডোবার পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, প্রতিবেশী মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা খাতুন তার বাড়ির পাশে খড়েরপালা থেকে গরুর খড় নিতে গিয়ে প্রথমে দূর্গ্ধ পান। এরপর আশেপাশে দুর্গন্ধের কারণ খুঁজতে থাকলে পাশেই ভিতরগাড়ী নামক কচুরিপানাযুক্ত ডোবার পাশে অর্ধগলিত শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। তার চিৎকার চেচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় গত কয়েকদিন আগে নিখোঁজ হওয়া কাফি খন্দকার (৮) এর লাশ ভিতর গাড়ী নামে একটি কচুরিপানাযুক্ত পরিত্যক্ত ডোবায় পড়ে রয়েছে।
তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া নিহত কাফি খন্দকার (৮) ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের সহলাপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে।
শিশুটি নিখোঁজের পর থেকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার পর গতকাল শুক্রবার জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারপরই পরদিন ওই শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ গ্রামের পরিত্যক্ত ডোবায় পাওয়া যায়।
এঘটনায় শিশুটির বাবা ইকবাল খন্দকার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে সবুর (৪৫), আলম হোসেন (৪০) এবং মশিউর রহমান কলম (৩৫) আমার ছেলেকে গুম করে হত্যা করে পরিত্যক্ত ডোবায় ফেলে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রাসেল খন্দকার বলেন, আমার ধারণা শিশুটিকে গুম করার পর হত্যা করে কচুরিপানাযুক্ত ডোবায় ফেলে ফেলে দিয়েছে। এর সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) দীপেন্দ্রনাথ সিং বলেন, এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজন দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খেলার কথা বলে কাফি খন্দকার বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। কালীতলা-আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদ রোডে সহলাপাড়া মোড়ে মোশারফ হোসেনের দোকানের সামনে সন্ধ্যার আগমুহূর্তে ওই শিশুটিকে খেলতে দেখা গেলেও এরপর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।