চট্টগ্রাম বন্দরে এবছরের ফেব্রুয়ারিতে মোট আমদানি, রপ্তানি ও খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪ টিইইউস। গত বছরের একই সময়ে ফেব্রুয়ারিতে মোট কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬১ টিইইউস। অর্থাৎ গতবছরের তুলনায় এবছরের ফেব্রুয়ারিতে ৬৭ হাজার ৭৮৭ টিইইউস কম কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়। যার ফলে ফেব্রুয়ারিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বন্দরের কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, সদ্য বিদায়ী মাস ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী আমদানি কনটেইনার এসেছে ৭৭ হাজার ৮৪১ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ১২৫ টিইইউস। অন্যদিকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার জাহাজে তোলা হয়েছে ৫৬ হাজার ২২৪ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার রপ্তানি হয়েছে ২৩ হাজার ৮৮৪ টিইইউস। আমদানি-রপ্তানি সব মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়।
এদিকে গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী আমদানি কনটেইনার এসেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৮৯ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার আমদানি হয়েছে ৩ হাজার ৯২১ টিইইউস। অন্যদিকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার জাহাজে তোলা হয়েছে ৬৯ হাজার ৮২০ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার রপ্তানি হয়েছে ৪৬ হাজার ৭৩১ টিইইউস। আমদানি-রপ্তানি সব মিলিয়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬১ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়।
কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ঋণাত্বক চিত্র ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতেও। গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় এবছরের জানুয়ারিতে ৬৭ হাজার ৪১৯ টিইইউস কম হ্যান্ডলিং হয়েছিল। ফলে জানুয়ারিতেও ঋণাত্বক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২৫ শতাংশের বেশি।
হ্যান্ডলিং পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী আমদানি কনটেইনার এসেছে ৮৭ হাজার ৯৮৪ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার আমদানি হয়েছে ১০ হাজার ৮৯২ টিইইউস। অন্যদিকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার জাহাজে তোলা হয়েছে ৬২ হাজার ৭২৭ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার রপ্তানি হয়েছে ৩৬ হাজার ১৭৯ টিইইউস। আমদানি-রপ্তানি সব মিলিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮২ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়।
এদিকে গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী আমদানি কনটেইনার এসেছিল ১ লাখ ৩১ হাজার ৫২৬ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার আমদানি হয়েছিল ৩ হাজার ৯৭০ টিইইউস। অন্যদিকে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার জাহাজে তোলা হয়েছিল ৭৩ হাজার ১৬৩ টিইইউস। এছাড়া খালি কনটেইনার রপ্তানি হয়েছিল ৫৬ হাজার ১৬৩ টিইইউস। আমদানি-রপ্তানি সব মিলিয়ে গত বছরের জানুয়ারি মাসে মোট ২ লাখ ৬৫ হাজার ২০১ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল।
এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ৩২ লাখ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিয়ের রেকর্ড রয়েছে। প্রতি বছরই কনটেইনার, কার্গো পণ্য ও জাহাজ হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। তবে সম্প্রতি বৈশ্বিক মন্দা ও দেশে ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা কম আমদানি রপ্তানি করতে পারছেন। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের কোন ভূমিকা নেই। আমাদের সক্ষমতা আছে। বড় বড় জাহাজ ভেড়ানোতেও চট্টগ্রাম বন্দর প্রস্তুত। যে পরিমাণ পণ্য নিয়েই জাহাজ আসুক, আমরা তা হ্যান্ডলিয়ে প্রস্তুত আছি।
১৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট আগে
১ দিন ১২ ঘন্টা ০ মিনিট আগে
১ দিন ১৪ ঘন্টা ৪৮ মিনিট আগে
২ দিন ৩৪ মিনিট আগে
২ দিন ৩৬ মিনিট আগে
২ দিন ৩৭ মিনিট আগে
২ দিন ১৩ ঘন্টা ২৬ মিনিট আগে
৩ দিন ১৮ ঘন্টা ৩৭ মিনিট আগে