৪. ব্যবসা, সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও আইনে পড়াশোনার সুযোগ আছে?
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন বৃত্তি, অনুদান, ফেলোশিপ, অ্যাসিস্ট্যান্টশিপসহ নানা আর্থিক সুযোগ-সুবিধাসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যান। যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেইলর্ড কলেজ অব জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশনের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমরান হাসনাত জানান, মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের বিভিন্ন বিষয়ে নানা ধরনের ফান্ডিং, পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ বেশি থাকে। সুযোগ বেশি থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ভর্তির হারও বেশি। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান, কলা বা আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা বৃত্তি নিয়ে আমেরিকায় পড়তে আসছেন।
এ ছাড়া ব্যবসায় প্রশাসনে এমবিএ পড়ার সুযোগ পান অনেক শিক্ষার্থী। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিষয়ে পড়েছেন, সে বিষয়েই যে স্নাতকোত্তর করতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই। ইচ্ছা কিংবা সুযোগ থাকলে আপনার কোর্স ও বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত একই অনুষদের অন্যান্য বিষয়ে পড়ার আবেদন করতে পারেন। যেমন আপনি যদি আইনে পড়েন, তাহলে ক্রিমিনোলজি, আন্তর্জাতিক আইনে মাস্টার্স বা পিএইচডির সুযোগ খুঁজতে পারেন।
৫. আইইএলটিএস না টোয়েফল, কোনটি বেশি কার্যকর?
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আবেদনে ভাষা দক্ষতার সনদ জমা দেওয়া নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ। প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আবেদনের জন্য ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ আপনাকে দিতে হবে। এডুকেশনইউএসএর আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর রুহুল আমিন বলেন, টোয়েফল (টেস্ট অব ইংলিশ অ্যাজ আ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ) পরীক্ষাটি ইংরেজি যাঁদের মাতৃভাষা নয়, এমন শিক্ষার্থীদের জন্য। স্নাতক কিংবা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে পড়ার চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য এ পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বছরের যেকোনো সময় এ পরীক্ষা দেওয়া যায়। বিদেশে ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন, ভিসার আবেদন ছাড়াও চাকরির জন্য টোয়েফল সনদ প্রয়োজন হয়। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) স্কোর বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আইইএলটিএস ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা। ভাষা দক্ষতার সনদ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনপত্রের সঙ্গে একাডেমিক আইইএলটিএস সনদ জমা দিতে হয়।
৬. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় কেমন?
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থানভেদে জীবনযাত্রার ব্যয় একেক রকম। টেক্সাস, অ্যারিজোনা, ওকলাহোমার মতো স্টেটগুলোয় জীবনযাত্রার ব্যয় তুলনামূলক কম। অন্যদিকে, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডিসি বা জনবহুল স্টেটে জীবনযাত্রার ব্যয় কয়েক গুণ বেশি হয়।