বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কী? প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব মাঈনউদ্দিন আল-মাহীর কবিতা - "শব্দহীন অভিমান" ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক মারা গেছেন লালপুরে দেশীয় অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার, ছাত্রদল নেতাসহ আটক ২ ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত পাবিপ্রবিতে পদ্মা ছাত্র কল্যাণ সমিতির ইফতার মাহফিল ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত কালিগঞ্জে কুশুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ডোমারে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত কোম্পানীগঞ্জে মাঠ দিবস পালিত কোম্পানীগঞ্জে ৩ দিনব্যাপী কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ নন্দীগ্রামে ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ইফতার মাহফিল! আদমদীঘিতে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি কুবিতে আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচারের দাবিতে মৌন মিছিল থিয়েটার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ইমতিয়াজ, সম্পাদক তন্ময় আদমদীঘিতে বিস্কুটের প্যাকেটের ভিতর হেরোইন, বাসযাত্রী গ্রেপ্তার শুক্রবার একই ফ্লাইটে কক্সবাজার যাচ্ছেন ড. ইউনূস ও গুতেরেস আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষকের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুন নন্দীগ্রামে পৌর জামায়াতের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

মণিরামপুরে ব্রি-২৮ ও রড মিনিকেট ধানে বিপর্যয়

মনিরামপুরে গো-খাদ্যের জন্য আগাম কেটে নেয়া হচ্ছে ধান। গিরা খুলে পড়া ও আগা শুকিয়ে চিটা পড়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এ ধান আগাম কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা। সঠিক পরামর্শের অভাবেই কৃষকের স্বপ্ন ফিকে হয়ে ধানে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিস বলছে আবহাওয়া জনিত কারণে ছত্রাকের আক্রমণে ধানের ক্ষতি হয়েছে। অথচ ইউনিয়ন কৃষি সেবা কেন্দ্রে পরামর্শে নিতে গেলে কৃষকদের গরম শুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের। উপজেলায় ব্রি-২৮, ব্রি-৬৩ ও রড মিনিকেট জাতের ধানে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। পরামর্শ নিতে বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর করতে হয়েছে।চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ১৮৬ হেক্টরে ব্রি-২৮, তিন হাজার ৪৬ হেক্টরে ব্রি-৬৩ এবং চার হাজার ৭০৩ হেক্টর জমিতে রড মিনিকেট জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।



উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাবুল আক্তার ৫ বিঘা জমিতে এবার ব্রি-২৮ জাতের ধানের আবাদ করেন। কিন্তু গিরা খুলে পড়া ও আগায় চিটা পড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এক মুঠো ধান তিনি ঘরে তুলতে পারছেন না। খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগর আলী দেড় বিঘা জমির সম্পূর্ণ ধানে চিটা পড়েছে। এমনিভাবে হযরত আলী, ইছহাক গাজী, শওকত হোসেন, নাজির হোসেন, সুবজ হোসেনসহ খাটুয়াডাঙ্গা, নেহালপুর, গোপালপুর, ঘুঘুদহ, বাহিরঘরিয়া অঞ্চলের কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে। গোটা উপজেলায় এ জাতের ধানের যারাই আবাদ করেছেন তাদের অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।



সরেজমিন মণিরামপুর-নেহালপুর সড়ক লাগোয়া মাঠে কাচা ধান কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে। ধান কাটছেন ১০ জন শ্রমিক। এগিয়ে যেতেই তারা বললেন, ধানে চিটা পড়ে গেছে। আগায় একটুও ধান নেই। তাই গো-খাদ্যের জন্য জমি মালিক বাবুল আক্তার কাটাচ্ছেন।এ সময় উপস্থিত বাবুল আক্তার বাকরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, এবার ৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। কিন্তু এক মুঠো ধানও তিনি ঘরে তুলতে পারছেন না। দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, কৃষি পরামর্শ নিতে গিয়ে গরম শুনতে হয়েছে। কেনো ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছি-এজন্য কৈফিয়তের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোরে অঞ্চলের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কিছু এলাকায় ছত্রাকজনিত রোগে ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সেটা দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে উত্তরণ ঘটছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধিক জমিতে এ রোগের আক্রান্তের খবর তার জানা নেই।

আরও খবর