চট্টগ্রামে হিটস্ট্রোকে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু ডিপফেকের শিকার আমির খান ছুটলেন থানায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় কেনিয়ার সেনাপ্রধানসহ নিহত ১০ প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন: অর্থমন্ত্রী কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় সড়ক ও পার্ক, উদ্বোধন ২৩ এপ্রিল হিট অ্যালার্টে আরও ৭ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি ঝিনাইদহ জেলার পানি উঠছে না নলকূপে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মুসলিম কমিউনিটি মৌলভীবাজার এর ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সারাদেশে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি ঝিনাইগাতী উপজেলার ডেফলাই গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব হানিফ উদ্দিন মাস্টার আর নেই মনপুরায় খল থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার। বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী র‍্যাবের অভিযানে স্বামী হত্যায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রী গ্রেফতার টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ২৪ ঘন্টায় আশ্রয় নিল ২৪ বিজিপি সদস্য অ্যালামনাই গঠন ও দেড়শো বছর উদযাপনের মহাপরিকল্পনা কসউবিয়ানদের শ্যালক রুবেলকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক টেকনাফ র‌্যাবের পৃথক অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত ৪ আসামী গ্রেফতার সীতাকুণ্ডের পাঁচ গরু চকরিয়ায় উদ্ধার, অস্ত্রসহ তিন চোর গ্রেপ্তার ইউপি নির্বাচনে কারসাজি ও দুর্বৃত্তায়ন সহ্য করা হবেনা কক্সবাজারে বাথরুমে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের ঠাঁই হল নার্স মিনারার কোলে

মণিরামপুরে ব্রি-২৮ ও রড মিনিকেট ধানে বিপর্যয়

মনিরামপুরে গো-খাদ্যের জন্য আগাম কেটে নেয়া হচ্ছে ধান। গিরা খুলে পড়া ও আগা শুকিয়ে চিটা পড়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এ ধান আগাম কেটে নিচ্ছেন কৃষকরা। সঠিক পরামর্শের অভাবেই কৃষকের স্বপ্ন ফিকে হয়ে ধানে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কৃষি অফিস বলছে আবহাওয়া জনিত কারণে ছত্রাকের আক্রমণে ধানের ক্ষতি হয়েছে। অথচ ইউনিয়ন কৃষি সেবা কেন্দ্রে পরামর্শে নিতে গেলে কৃষকদের গরম শুনতে হয়েছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের। উপজেলায় ব্রি-২৮, ব্রি-৬৩ ও রড মিনিকেট জাতের ধানে এ অবস্থা দেখা দিয়েছে। পরামর্শ নিতে বীজ ও কীটনাশক ব্যবসায়ীদের উপর নির্ভর করতে হয়েছে।চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দুই হাজার ১৮৬ হেক্টরে ব্রি-২৮, তিন হাজার ৪৬ হেক্টরে ব্রি-৬৩ এবং চার হাজার ৭০৩ হেক্টর জমিতে রড মিনিকেট জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।



উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাবুল আক্তার ৫ বিঘা জমিতে এবার ব্রি-২৮ জাতের ধানের আবাদ করেন। কিন্তু গিরা খুলে পড়া ও আগায় চিটা পড়া রোগে আক্রান্ত হয়ে এক মুঠো ধান তিনি ঘরে তুলতে পারছেন না। খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগর আলী দেড় বিঘা জমির সম্পূর্ণ ধানে চিটা পড়েছে। এমনিভাবে হযরত আলী, ইছহাক গাজী, শওকত হোসেন, নাজির হোসেন, সুবজ হোসেনসহ খাটুয়াডাঙ্গা, নেহালপুর, গোপালপুর, ঘুঘুদহ, বাহিরঘরিয়া অঞ্চলের কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে। গোটা উপজেলায় এ জাতের ধানের যারাই আবাদ করেছেন তাদের অধিকাংশই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।



সরেজমিন মণিরামপুর-নেহালপুর সড়ক লাগোয়া মাঠে কাচা ধান কাটার দৃশ্য চোখে পড়ে। ধান কাটছেন ১০ জন শ্রমিক। এগিয়ে যেতেই তারা বললেন, ধানে চিটা পড়ে গেছে। আগায় একটুও ধান নেই। তাই গো-খাদ্যের জন্য জমি মালিক বাবুল আক্তার কাটাচ্ছেন।এ সময় উপস্থিত বাবুল আক্তার বাকরুদ্ধ কন্ঠে বলেন, এবার ৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। কিন্তু এক মুঠো ধানও তিনি ঘরে তুলতে পারছেন না। দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, কৃষি পরামর্শ নিতে গিয়ে গরম শুনতে হয়েছে। কেনো ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছি-এজন্য কৈফিয়তের সম্মুখীন হতে হয়েছে।

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোরে অঞ্চলের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কিছু এলাকায় ছত্রাকজনিত রোগে ধানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। সেটা দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে উত্তরণ ঘটছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অধিক জমিতে এ রোগের আক্রান্তের খবর তার জানা নেই।